২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের ওই মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জাতীয় নেতারা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে সিলেটের সমাবেশ সফল কবতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনকেও সমাবেশের বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক-নেতিবাচক কিছুই জানানো হয়নি। এক সপ্তাহ থেকে এসএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।
নেতারা গণমাধ্যমের প্রশংসা করে বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অগ্রভাগে প্রয়োজন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাবেশ সফল করতে চান তারা।
বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে আটক করা হয়েছে। কারাবন্দি অবস্থায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দেশে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মহোৎসব চলছে, সেখানে মাত্র দু’কোটি টাকার মামলায় নেত্রীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। অথচ নেত্রী কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। বরং ২ কোটি টাকাকে বাড়িয়ে ৬ কোটি করা হয়েছে। যেসব মামলায় নেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলা ১/১১’র সময়ে দায়ের করা। সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করা হলেও সেই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন এখনো কারাবন্দি। যা সরকারের নগ্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন নেতারা।
তারা বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বর্তমান সংসদ ভেঙে সব দলের অংশগ্রহণে অবিলম্বে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ২৪ সেপ্টেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ। সেই সমাবেশে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। ওইদিন রেজিস্ট্রারি মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদী তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দলের নেতা এম ইলিয়াস আলী, ইফতেহার হোসেন দিনার, জুনেদ আহমদ, গাড়িচালক আনসার আলীসহ গুম হওয়া নেতাকর্মীদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অনিয়ম-দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিসহ ক্ষমতাসীন সরকারের সৃষ্ট সীমাহীন জনদুভোগের চিত্র সিলেটবাসীর সামনে তুলে ধরা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও দিলদার হোসেন সেলিম, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, কামরুল ইসলাম জায়গিরদার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, মিফতাহ সিদ্দিকী, হাসান পাটোয়ারি রিপন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, আবুল কাশেম, মাহবুবুল হক চৌধুরী, রেজাউল করিম আলো, আব্দুল মালিক, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, নগরের সভাপতি ফজলে রাব্বি আহসান, সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এনইউ/এএটি