তার পদত্যাগপত্র দলের বিএনপির মহাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জানা গেছে। পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ’ দেখানো হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর শোকরানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এবং তার সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশটিতে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়।
শোকরানা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বগুড়ায় যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বগুড়ার কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ওই মামলায় তিনি ছয় বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আটক হলে পরে ১৯৮১ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তার ক্ষমতায় এলে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে তিনি সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান। ১৯৯৯ সালে বিএনপিতে যোগ দেন শোকরানা। এরপর বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও পরাজিত হন তিনি।
বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হিসেবে থেকে সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করতে থাকেন শোকরানা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
কেইউএ/এইচএ/