বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, যে কারণে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার।
তিনি বলেন, এসময়ের শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদ। মৃত্যুঞ্জয়ী আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে মৃত্যুকে জয় করেছেন। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধের প্রধান প্রেরণা হয়ে থাকবেন ফাহাদ। ফাহাদ আমাদের প্রাণের পতাকা।
‘একটা ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, বাংলাদেশ ভারতকে গ্যাস দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত বিষয়টি হচ্ছে- বিদেশ থেকে আমদানি করা গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করে তা ভারতে রপ্তানি করবে বাংলাদেশ’। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের এই বক্তব্য হাস্যকর দাবি করে রিজভী বলেন, ভারতের সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রী’ সম্পর্ক তৈরি করা এই মন্ত্রী মহোদয়কে বলতে চাই বিদেশ থেকে গ্যাস এনে আমাদের প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রপ্তানি করতে হবে কেন? ভারত নিজে কী প্রক্রিয়াজাত করতে জানে না? আপনি যেখান থেকে গ্যাস আনবেন, সেখান থেকে ভারত নিজেইতো গ্যাস নিতে পারে। আপনাকে কেন দিতে বলবে?
যার রুমে যার উপস্থিতিতে ফাহাদকে হত্যা করা হয়- সেই অমিত সাহার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এজাহারে তার নাম নেই। তাকে বহিষ্কারও করেনি ছাত্রলীগ। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম তথা টর্চার সেলটি অমিত সাহার। তাকে বাঁচাতে বুয়েট প্রশাসন ও বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ অধিকাংশ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ফাহাদকে মারার সময় অমিত সাহা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মারামারিতে অংশ নেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অন্যরা মরদেহ নিয়ে গেলেও অমিত সাহা তার রুমেই ছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে এক হয়ে আমরাও অবিলম্বে অমিত সাহাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আওয়াল খান, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এমএইচ/টিএ