ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সরকার ভারতের কূটনীতির কাছে পরাজিত: অলি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
সরকার ভারতের কূটনীতির কাছে পরাজিত: অলি 

ঢাকা: সরকার ভারতের কূটনীতির কাছে পরাজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হল রুমে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এলডিপি সভাপতি বলেন, সরকার বারবার ভারতের কাছে কূটনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।

ভারতের যা কিছু দরকার এ সরকার সবই দিয়েছে। তারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ভারত জানে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত নয়, অনেকটা দুর্বল সরকার। নতজানু সরকার, সুতরাং তাদের কাছ থেকে যেকোনো জিনিস আদায় করে নেওয়া সম্ভব। ভারতের সঙ্গে অনেকগুলো অমীমাংসিত ইস্যু আছে, বিশেষ করে নদীর পানি। এ সরকার ২০০৮ সালের পর থেকে ক্ষমতায় আছে কোনো নদীর পানি আনতে পারেনি। অন্যদিকে ভারতের যা দরকার সবকিছু দিয়ে দিয়েছে।

অলি আহমদ বলেন, একদিনে ৫৯জন সংসদ সদস্য সাধারণ পাসপোর্টে ভারতের ভিসা নিয়েছেন। এটা সরকারের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তারা কিভাবে সাধারণ পাসপোর্টে ভারতের ভিসা নিলেন?

সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা পাচার করে মালয়শিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে। অনুরূপভাবে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, কানাডা আমেরিকায়ও অনেকে সেকেন্ড হোম হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করবো, সরকার তাদের নামগুলো পত্রিকায় প্রকাশ করবে।

তিনি বলেন, গত ৪০ বছরে কয়েকটা সরকার ছিল। কোনো সরকারের সময় শেয়ার মার্কেটের টাকা লুট হয়নি। শুধু তিনবার আওয়ামী লীগ সরকার ছিল তখনই লুট হয়েছে। এর কারণ সরকারের বড় বড় মন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত। পত্রিকায় দেখেছি ২৭ জন সংসদ সদস্যদের ওপর নজর রাখছে গোয়েন্দা সংস্থা। অনেক মন্ত্রী বস্তায় বস্তায় টাকা ও মার্সিডিজ গাড়ি নিয়েছে এখনও সরকার তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন? তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আমাদের দাবি অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে জনগণের লুটের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হোক।

এলডিপির এ নেতা বলেন, আজকে সব পর্যায়ে দুর্নীতি, জাতি অতিষ্ট, তাহলে কেন অপেক্ষা, ঘর থেকে বের হউন। শান্তিপূর্ণ ও আইন অনুযায়ী প্রতিবাদ করুন। দেশকে মুক্ত করুন। নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করুন। ঐক্যবদ্ধ হন, আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে, এ সরকারের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

কর্নেল অলি বলেন, ‘সম্রাটের টাকার ভাগ পায়নি এমন নেতা খুব কম আছে। এখন সম্রাট, শামীম ও খালেদসহ অন্যান্য গ্রেফতার নেতাদের পার্টনাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বান্দরবনে যারা ৫ তারকা হোটেল নির্মাণ করছে তারা শামীমের পার্টনার। ’

এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাতীয় মুক্তিমঞ্চের নেতা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পারওয়ার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।