সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: বাংলানিউজ
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতির সামনে রাজসাক্ষী হয়ে রাতের ভোট ডাকাতির স্বীকারোক্তি দেওয়ার মাধ্যমে নিজের দায় ও অপরাধ স্বীকার করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ বক্তব্যের পর নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক দিয়ে বর্তমান সরকারের উচিত সংসদ ভেঙে দেওয়া। সরকারের যদি লজ্জা থাকে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। তারা যে অবৈধ সরকার তাদের লোকেরাই তা স্বীকার করেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ চলছে সম্পূর্ণ উল্টো পথে।
যারা অপরাধী রাজদণ্ড তাদের হাতে। আর নিরাপরাধ থাকেন কারাগারে। গণতন্ত্র ও দেশের পক্ষে কথা বলার কারণেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলিটিক্যাল মনোপলি নীতির কারণেই নিহত সংবিধান, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ নির্বাচন। কিন্তু বন্ধুরা, সত্যের ঢোল বাতাসে বাজে, অপকর্ম করেও কখনো কখনো বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয় মানুষ, বিবেকবান মানুষের মনে অপরাধবোধ অস্থিরতা সৃষ্টি করে। সরকারের বিশ্বস্ত কমরেড রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি তা আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের নেতাদের বলছেন, ‘দুর্নীতিবাজরা গণভবনে আসতে পারবে না। ’ এ কথাটি জনমনে হাসি-তামাশার সৃষ্টি করেছে। কারণ কে কাকে দুর্নীতিবাজ বলছে? অপ্রিয় হলেও সত্য, খোদ গণভবনই এখন দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে। রাতের আঁধারে জনগণের ভোট ডাকাতি করে ভোটাধিকার হরণ কী বড় দুর্নীতি নয়।
তিনি বলেন, গত এক দশকে দেশে দুর্নীতি-অনাচার-দুর্বৃত্তায়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সুবিধাবাদী মানুষেরা আওয়ামী লীগকে মনে করছে টাকা বানানোর হাতিয়ার। এ আওয়ামী জাহেলিয়াতের আমলে অবস্থা এতটাই বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে, এ দেশে এখন একজন উপাচার্য, তার পদের চেয়ে যুবলীগের নেতা হওয়াকে বেশি গৌরবজনক মনে করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও বানোয়াট তথ্য পোস্ট করছে দাবি করে রিজভী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে তারেক রহমানের আদৌ কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি এ ধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মহলকে এ অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।