শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২২(১১)১৯)।
সংঘবদ্ধ হয়ে অনুমতি ছাড়া মিছিল, জন সাধারণ ও গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীকে প্রধান করে আরও ৩০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
এজাহার ক্রমানুসারে অন্য আসামিরা হলেন-জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাউল কবির সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন রায়হান ও মওদুদুল হক মওদুদ, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মতিউল বারী খোরশেদ, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী, এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আজাদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল খালিক মিল্টন, মহানগর বিএনপির সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফরহাদ, ছাত্রদল সদস্য শাহজাহান চৌধুরী মাহি, শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লাহিন চৌধুরী, ছাত্রদলের সহ সভাপতি রুজেল আহমদ, জালালাবাদ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সুমন, যুবদল নেতা কুহিনুর আহমদ, মহানগর বিএনপির সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক খালেদুর রশিদ ঝলক, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সহ সম্পাদক এম রাসেল আহমদ, শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল কবীর কাদির, যুবদল নেতা মোবারক হোসেন ফাত্তাহ, সাবেক বিএনপির সদস্য ঝিনুক আহমদ, উপজেলা ছাত্রদল সদস্য এম এ দিলোয়ার, যুবদল নেতা ফয়জুর রহমান পীর, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি তছির আলী, যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন আজিজ, মদন মোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা আফজাল হোসেন, সিসিকের ৬নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান।
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর মিরাবাজার থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার জন্য জড়ো হন। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি নাইওরপুল এলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপি নেতাদের দাবি এসময় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- রিনুক আহমদ, মুহিবুর রহমান মুহিন, নুরুল আমিন, রনি আহমদ, সেলিম আহমদ, ইমন আহমদ, মুর্শেদ আলম, জুনেদ আহমদ, সাবের আহমদ প্রমুখ।
লাঠিচার্জের পর নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের একটি গ্রুপ পুলিশি বাধা ও লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে নয়াসড়ক পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/