মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনো সিনিয়র সচিবকেও পাঠানো হয়নি।
‘এসব কর্মকাণ্ডে দেশবাসী লজ্জিত হয়। জাতি হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের মান-সম্মানের হানি ঘটলেও প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়ে না। তিনি বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা, মান-সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, দেশ থেকে নয় লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল। বালিশ, খাতা, কম্বল কেনার নাম করে লুটে নেওয়া হলো কোটি কোটি টাকা। লুটেরারা অধরাই থেকে গেল। অথচ মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে হত্যার চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের দায় কেউ এড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও চালের দাম বেড়েই চলেছে। দেশে-বিদেশে পেঁয়াজ নিয়ে নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী রঙ্গরস করলেও বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এখন স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আতঙ্কের। মাসের পর মাস পার হলেও নিত্যপণ্যের বাজারের কোনো উন্নতি হয়নি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত শাক-সবজি সরবরাহ থাকলেও শুধুমাত্র সিন্ডিকেটের কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। পেঁয়াজের জন্য হাহাকার চলছে। আজকেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, ৩৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে সিন্ডিকেটের সদস্যরা তা বিক্রি করছেন দুইশ’ টাকার উপরে। ১৯৭৪ সালেও এমন হাহাকার ছিল লবণের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএইচ/এসএ