শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল পাশে বসা বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপুর মোবাইল ফোনে থাকা ছবি দেখিয়ে বলেন, তারা ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে লাঠি মিছিল করেছিল, আপনারা গুগলে গেলেই পাবেন।
আরেক ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর আওয়ামী আইনজীবীদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড প্রধান বিচারপতির এজলাস বন্ধ ছিল। তিনদিন বিচারপতিরা কোর্টে আসেননি। এখন কি হুমকি দিচ্ছেন, আইনজীবীদের হট্টগোল ক্ষমার অযোগ্য? তাহলে আপনাদের ওইসব তাণ্ডব ক্ষমা পেলো কী করে? অতীতের সেই কথাগুলো তাদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার।
দেশে আইনের শাসন নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে তারা যে নাটক করছে, তা বাদ দিয়ে দয়া করে একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে জামিনে মুক্ত করুন। তাকে বেঁচে থাকার জন্য চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দেন। অন্যথায় এদেশের মানুষ কোনোদিনই আপনাদের ক্ষমা করবে না। তখন আপনারাই ক্ষমার অযোগ্য হবেন।
তিনি বলেন, ভারতবর্ষে এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) হচ্ছে। এটা নিয়ে কোনো কথাও বলা যাবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালও (৬ ডিসেম্বর) বলেছেন, কোনো চিন্তার কারণ নেই। ভারত আমাদের এত ভাল বন্ধু যে কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু ইতোমধ্যে যেটা হয়ে গেছে সেটা কী করবেন? কিছু লোক তো অলরেডি চলে এসেছে। আইন পাস হচ্ছে যারা অমুসলিম তাদের নাগরিকত্ব দেবে। মুসলিমদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ নেই। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হয় না। চারপাশের নদীর পানির হিস্যা পাই না। কোন দিকে দিয়ে আপনারা সফল?
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশটাকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে যে টাকা পাচার করেছেন তা আগে কখনো হয়েছে বলে জানা নেই। তারা দেশে আর টাকা রাখছে না। সব বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে, পতন অনিবার্য। সেই পতনের পরে তারা কীভাবে থাকবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ভয় দেখিয়ে আর লাভ হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তারা অধিকার আদায় করে নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবর রহমান সরোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আব্দুস সালাম আজাদ, সুলতানা আহমেদ, শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএইচ/একে