ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে জনগণ চিন্তিত: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে জনগণ চিন্তিত: মোশাররফ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশ এখন সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে মানুষ চিন্তিত। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাংলাদেশের এরকম অবস্থা আর হয়নি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন আমাদের অর্থনীতির ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

৯টি ব্যাংক প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেছে। চাপাবাজি করে এগুলোকে জনগণ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস প্রায়, সামাজিক ন্যায়বিচার ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। দেশে আইন নেই, আইনের শাসন নেই। দলীয়করণের কারণে বিচারব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে এ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে শুধুমাত্র গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে নিম্ন আদালতেই খালেদা জিয়া জামিন পেতেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে। আর এ সরকার গণতন্ত্রের বিপক্ষে। তাই এ দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট শাসন বজায় রাখার জন্যই খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। বিচার বিভাগকে তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে। বিচার বিভাগের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে।

বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, তারেক রহমান নির্দোষ থাকার কারণে নিম্ন আদালতের বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল। আর যে বিচার এ রায় দিয়ে ছিলেন তাকে দেশ থেকে জীবন নিয়ে পালাতে হয়েছে। এ পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা দেখছি, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের পার্লামেন্টে মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করে দেশকে হেয়পতিপন্ন করা হচ্ছে। এখন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি এতই নতজানু যে,  তারা প্রতিবাদ করতে পারছে না। তাই সবকিছু থেকে একটি সমাধান আমাদের খুঁজতে হবে। অত্যাচার, অনাচার গুম-খুনসহ সব কিছুর জন্য যারা দায়ী সেই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

আইনীভাবে আর কখনোই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র পথ গণআন্দোলন। আর গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।