তিনি বলেছেন, রাজাকারদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমাদের দাবিতো একটাই।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার তার নিজের রাজনৈতিক প্রয়োজনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে। বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই সব তালিকা তারা প্রকাশ করেছে। এটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার না করে ৪৯ বছর পরে রাজাকারের তালিকা কতটুকু সঠিক হয়েছে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সব শহীদরা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি। আমরা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে। যাকে অন্যায়ভাবে এই সরকার কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছেন এবং নির্যাতিত হয়েছেন।
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ আমরা করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য। আজকে ৪৯ বছর পরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের সেই চেতনাগুলোকে হরণ করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে মানুষের স্বপ্নগুলোকে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এই সরকার। তারা এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদার, আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস