ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো: ফখরুল বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এ আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তাদের(আওয়ামী লীগ) ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। অতীতে যেভাবে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, আগামীতেও একইভাবে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত। মেরুদণ্ডহীন সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। ভারত এনআরসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করছে। সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।

ভারতের এনআরসি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা ভারতকে শত্রু মনে করি না। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় মনে হয় তারা আমাদের শত্রু মনে করে। তারা বাংলাদেশের শত্রু শুধু আওয়ামী লীগের বন্ধু।

তিনি বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়,  অন্যদেশের জাতীয় স্বার্থে আঘাত লাগলে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চাপা দেওয়া যাবে না। আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, আজকে সেই গণতন্ত্র অপসারিত হয়ে স্বৈরাতন্ত্র কেন কায়েম হয়েছে তা এই সরকারকে জবাব দিতে হবে।

খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধ সম্পর্কে মঈন খান বলেন,  খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপির সৈনিকরা বুকে রক্ত দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব উন নবী খান সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামছুল হক প্রমুখ।

অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।