শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীন একটা অবস্থা, সংবিধান পুরোপুরি উপেক্ষা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে প্রায় এক দশক ধরে।
তিনি বলেন, জাতির প্রত্যাশা ছিল হয়তো গণতন্ত্র উত্তোরণের একটা পথ দেখা যাবে। কিন্তু (আওয়ামী লীগ) সম্মেলনে সেই পথ তারা দেখাতে পারেনি। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক যে উন্নয়ন তার জন্য কোনো দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির কাউন্সিল কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা এখানে রাজনীতির স্পেস পাচ্ছি না। আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি না। বেশিরভাগ জায়গায় আমাদের কাউন্সিল করতে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলাগুলোতে আমাদের কাউন্সিল করতে দেওয়া হয় না। আমরা এর মধ্যেও কাজ করছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনকে গুছিয়ে আনা হচ্ছে। আমরা দ্রুততম সময়ে এটা শেষ করবো এবং এর মধ্যেই কাউন্সিল করার চেষ্টা করবো।
রাজাকারের তালিকায় ভুলভ্রান্তির পেছনে বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে সরকারের এক মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নতুন না। ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টা পুরনো। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র। সবসময় তাদের ব্যর্থতা, তাদের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে।
এর আগে দলীয় চেয়ারপারসনের সদ্যপ্রয়াত উপদেষ্টা জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, উলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এমএইচ/একে