মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা মুরুব্বিদের তুষ্ট করে শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে আবোল-তাবোল প্রলাপ বকা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, গণমানুষের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে আজ ৬৮৫ দিন ধরে বন্দি করে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার সুচিকিৎসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানালেও তা শুনছে না প্রধানমন্ত্রী। আমরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় আছি। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হয় না। আমরা অবিলম্বে ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ২০০১ সাল কেনো, বিএনপির কোনো শাসন আমলেই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আবহমানকাল ধরে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময় বরাবরই বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন ছিল।
তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে দলের আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম দেওয়া হবে ২৬ ডিসেম্বর। ২৭ ডিসেম্বর ফরম জমা নেওয়া হবে। ২৭ ডিসেম্বরও ফরম নিতে পারবেন। তবে ওইদিনই বিকেল ৪টার মধ্যে ফরম জমা দিতে হবে। ফরম উত্তোলনের সময় ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আর জমা দেওয়ার সময় এক লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর ২৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএইচ/টিএ