সেলিমা ইসলাম বলেন, সরকার তাকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন>>খালেদার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যরা
তিনি বলেন, আগের চাইতে তার শারীরিক অবস্থার আরও বেশি অবনতি হয়েছে। সেদিন তো তার ফাস্টিং বললাম ১৫, আজকে ১৮। তিনি হাত সোজা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। তিনি পা ফেলতে পারছেন না।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল তিনটায় খালেদার স্বজনরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন।
স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতি সামিন ইসলাম, রাখীন ইসলাম, নাতনি আরিফা ইসলাম।
জামিনের ব্যাপারে খালেদার সঙ্গে স্বজনদের কোনো কথা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিলো না এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার কোনো কথা বলেননি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছেন না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা আজকে বোধ হয় এসেছিলেন। তারা ওষুধ দিয়েছেন কিন্তু সে ওষুধে তার কাজ হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার দরকার।
অভিযোগ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না, আজকে একমাস হলো অনেক বলার পরে আমরা দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে আসলে তার তো একটু ভালো লাগে। কিন্তু আমরা যে দেখতে আসবো সেই পারমিশন তারা দিচ্ছে না। একমাস দেড়মাস হয়ে যায় কোনো পারমিশন দেয় না।
উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে তার কোনো কিছু বলেছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ, তিনি তো উন্নত চিকিৎসা চাইবেনই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরি।
খালেদা জিয়া জনগণের উদ্দেশ্যে কোনো মেসেজ দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ম্যাডাম আপনাদের ও দেশের জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এমএইচ/এএটি