মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে ডাকযোগে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এই আবেদন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।
অপরদিকে ইউনুছ আলী আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার আত্মীয়-স্বজন ও তার দলীয় লোকেরা সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আমি জনস্বার্থে মানবিক কারণে আবেদনটি করেছি। যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধান শুরু হয়েছে, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণ’। আর মানুষের ধর্ম হলো মানুষের সেবা করা। যেহেতু সংবিধানের প্রস্তাবনা ৪৮ (৩), ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে যেকোনো দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করতে পারেন। সেজন্য এই দুজনের কাছে আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বসম্পন্ন। তাই জনস্বার্থে যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যে কারও জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনীতি করি না বা কখনও কোনো দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবে মানবিক কারণে একজন বৃদ্ধা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি পাওয়া উচিত বলে মনে করি। সেজন্য আবেদন করেছি। এই আবেদনের কপি আমি আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে দিয়েছি। ’
বিএনপির কোনো নেতা বা খালেদা জিয়ার কোনো আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আমরা যোগাযোগ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি/