বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, তথ্য গোপন করে এই মহামারী এড়ানো যাবে না।
ভিডিও কনফারেন্সে রিজভী জানান, সরকারের তথ্য গোপন পলিসির সমালোচনা করার কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত কয়েকদিনে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী ও চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি করেন তিনি।
‘এই সংকটময় সময়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে আসেনি, সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি’। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন বলেই সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরাকে অপতৎপরতা হিসেবে অভিহিত করছেন। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সমালোচনা করাকে প্রকৃত গণতন্ত্রে অপতৎপরতা হিসেবে গণ্য করে না। আপনাদের গণতান্ত্রিক মানস নেই বলেই সমালোচনা শুনলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এই মহাদুর্যোগে যখন মানুষ জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে তখন ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য বিভাজন ও বিভেদেরই প্রতিফলন। ’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসার নিরাপত্তার জন্য তার একান্ত সচিব আইজিপি বরাবরে আবেদন করলেও এ বিষয়ে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি অবিলম্বে চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের আইজিপির নিকট অনুরোধ করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমএইচ/এবি