মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ ইস্টার্ন পয়েন্টের সামনে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আজকে সরকারি যে ত্রাণ, এই ত্রাণ আত্মাসাৎ হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে রিজভী বলেন, যখন সব মহল থেকে বলা হচ্ছে, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই মহামারি মোকাবিলা করতে হবে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার একঘেয়েমি করছে। একতরফাভাবে কাজ করতে গিয়ে শুধু নিজেদের দলের লোকজনের পেট ভরাচ্ছে। যা গত ১০ বছর ধরে করে আসছে।
তিনি বলেন, যখন মানুষ রাস্তায় মরে পড়ে থাকছে, মানুষ একটু খাবারের জন্য হাহাকার করছে, রেলস্টেশনে, পথে-ঘাটে একটা ত্রাণের আশায় দিনের পর দিন প্রখর রোদ্রের মধ্যে অপেক্ষা করছে, ত্রাণ পাচ্ছে না, তখন ত্রাণ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। আমরা এখনও বলছি, জনগণের এই দুর্দশা লাঘব করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা সরকারে আছেন, তাদের প্রধান দায়িত্ব এই কাজটা করার। অথচ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, তারা নানা কথাই বলছেন। ‘না, ত্রাণ চুরি হচ্ছে না। চাল চুরি হচ্ছে না। আমরা ঠিক মতোই দিচ্ছি’। আমি বলব, প্রতিদিনই আপনারা গণমাধ্যম খুলে দেখবেন, শুধু চাল চুরির ঘটনা। শুধু ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা। আর ওদিকে, রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, একটু ত্রাণের আশায়, দুস্থরা হাহাকার করছে।
ফিউচার অব বাংলাদেশের এই উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
ফয়সাল সালামের নেতৃত্বাধীন এই সংগঠনটি সারাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ে দুস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়েকজনের হাতে ত্রাণ দেন রিজভী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফিউচার অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদ বিন হাসান, কেজি সেলিম, সদস্য নাহিদ রহমান পুতুল, রবিকুল হাবিব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এমএইচ/টিএ