বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, নোয়াখালীর কৃতি সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ভারতে প্রবাসী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. সা’দত হুসাইনের মৃত্যুতে তার পরিবার, নিকটাত্মীয়দের মতো আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছি। আমি তার আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
‘নম্রতা, বিনয়, সৌজন্য ও সহিষ্ণুতা ছিল স্বাধীনচেতা, স্পষ্টভাষী এ মানুষটির সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ সমস্ত বৈশিষ্ট্যের কারণেই সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সর্বমহলে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। তার সততা ও নিষ্ঠা ছিল ঈর্ষণীয় উচ্চতার। সে কারণেই পেশাগত জীবনে সরকারি সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি নিজ কর্তব্যকর্ম থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশমাতৃকার মুক্তির প্রশ্নেও তিনি ছিলেন আপোষহীন। ৭১ সালে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তা উত্তর প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য হবে। তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে জাতির জন্য বেদনার। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। ’
ড. সা’দত হুসাইন বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এমএইচ/এইচজে