ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

ঐক্যমতের ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলার আহ্বান বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২০
ঐক্যমতের ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলার আহ্বান বিএনপির

ঢাকা: ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মিলিতভাবে মহাদুর্যোগ মোকাবিলা সময়ের দাবি’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্যথায় এর পরিণতির জন্য এককভাবে বর্তমান সরকারকেই দায়ভার বহন করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনা সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সম্পদশালী রাষ্ট্র হওয়াটা জরুরি নয়।

বৈশ্বিক অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায় ভিয়েতনাম, নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের কেরালা রাজ্যে আন্তরিকতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং দরিদ্র মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরাসরি আর্থিক-গ্রান্ট তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা একটি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারত দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে সমন্বিতভাবে বর্তমানে সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশেও আমরা সব রাজনৈতিক দল, এহেন জাতীয় সন্ধিক্ষণে ১৯৭১ সালের ন্যায় সম্মিলিতভাবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ মহাদুর্যোগ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এহেন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও ঐক্যের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে সরকার একদলীয় ভিত্তিতে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু লেজেগোবরে করে ফেলেছে। এ পরিস্থিতির দায় এককভাবে বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে।

সরকারকে কতগুলো প্রস্তাব দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, এখনও সময় আছে। এ সময়ে এসেও সরকার যদি মনে করে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের পাশে দাঁড়াবে, তাহলে কিছু পদক্ষেপ এখনও জরুরিভাবে তারা নিতে পারে। যদিও এরই মধ্যে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিগত ৪ এপ্রিল বিএনপির দেওয়ার আর্থিক প্যাকেজে প্রস্তাবনায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা উল্লেখ আছে।

এ মুহূর্তে জরুরি আবশ্যকীয় শারীরিক দুরুত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিন আনে দিন খায় এ শ্রেণির মানুষের মাসিক ৫ হাজার টাকা হারে প্রাথমিকভাবে তিন মাসে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নগদ সাহায্য-সহায়তা সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পৌঁছানো নিশ্চিত করতেই হবে। এ শ্রেণির মানুষের কাছে নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিলে আয়ের অপরিহার্য যুক্তিতে তারা ঘরের বাইরে আসার প্রয়োজন অনুভব করবে না। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বা সহনীয় পর্যায়ে আনয়ন করা সম্ভব হবে।

এসময় বর্তমানে ত্রাণ চুরি এবং স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।