তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী লকডাউন শিথিল করে মানুষের আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যুর মিছিলকে দীর্ঘায়িত করছেন।
মঙ্গলবার (১২ মে) রূপগঞ্জে তারাবো পৌর বিএনপির সভাপতি নাসিরুদ্দিনের উদ্যোগে বরপা এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে লকডাউন শিথিল করছেন। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী আপনি ভুল পথে হাঁটছেন। লকডাউন শিথিল করায় জার্মান ইংল্যান্ডের মতো দেশের করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তাঘাট, নদীর ধারে, হাটে-বাজারে মানুষ মরে পড়ে থাকছে। এই সরকারের কোনো ধরনের মানুষের প্রতি মায়া মহব্বত নেই। থাকবে কেন, ওনাদের তো ভোট দরকার পড়ে না। রাতের বেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোট করে দেয়।
তিনি বলেন, গোটা পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত লোকেরা বসে আছেন। উনি যেটা বলেন, সেটাতেই সবাই হাতে তালি দেন। এই পার্লামেন্টে জনগণের সমর্থন নেই। যে পার্লামেন্টে জনগণের সমর্থন থাকে না, সেই সরকার ফ্যাসিজম এবং স্বৈরাচারী দিয়ে দেশ চালাবে। সেখানে দেশের মানুষ মরলো কী বাঁচলো তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।
রিজভী বলেন, লকডাউন শিথিল করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও মাথার মধ্যে নেন না। নিতেও চান না। এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা সরকারি ত্রাণ দিতে আসিনি। কঠিন দুর্যোগেও সরকার তাদের বৈশিষ্ট্য থেকে ন্যূনতম সরে আসেনি। তারা কোনো কিছুই সামাল দিতে পারেনি। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারের অধিক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি নিলে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। জানুয়ারিতে যখন চীনে করোনা মহামারি দেখা দিল, তখন বাংলাদেশের যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল, তা সরকার নেয়নি। তারা তাদের একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সরকার যদি লকডাউন করে ব্যবস্থা নিয়ে গরিব মানুষকে সহায়তা দিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখতো, তাহলে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকার করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এমএইচ/টিএ