তিনি বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, গরিব, অসহায় মানুষ, কর্মহীন মানুষ তারা অনেক কষ্টে আছেন। অথচ জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ চেয়ারম্যান মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা চুরি করছেন।
রোববার (১৭ মে) সকালে ময়মনসিংহের পাইথলিন ইউনিয়নে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডাক্তার মোফাখখারুল ইসলাম রানার উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ লোককে এক হাজার দুইশ ৫০ কোটি টাকা দেবেন। আমরা এখন সেই খবর দেখছি সরকারের লোকেরা প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রেখে দুই হাজার টাকা দিচ্ছেন। আবার যারা তালিকা করছেন তাদের নিজস্ব লোক আত্মীয়-স্বজনদের নাম তালিকায় দিচ্ছেন। গরিব মানুষের নাম তালিকায় থাকে না। তালিকা এমন ভাবে করেন যেন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আছে কর্মচারীর নাম নেই। তাহলে কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছে একবার চিন্তা করুন। এটা তো জনগণের টাকা। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের টাকা নয়। মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে। তারা তো না খেয়ে মারা পড়বে।
তিনি বলেন, চীনে জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারি শুরু হয়। তখন থেকে আমাদের দেশে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যান্য অনেক দেশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ভালো আছে। আর বাংলাদেশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এমএইচ/এএটি