দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নিজের বাসায় ঈদ করলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। দলীয় নেতাকর্মীদেরও বাসায় আমন্ত্রণ থাকবে না।
জানা যায়, প্রতিবছর ঈদের আগে বা পরে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান দেশে আসতেন। তিনি শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতেন। এবছর প্লেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তবে ঈদের দিন স্কাইপিতে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবার এবং আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ভারতের সিলংয়ে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে ঈদ করবেন। ভারতের অনুপ্রবেশের মামলায় সিলংয়ের নিন্ম আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিলেও সরকার আপিল করায় তাকে সেখানে অবস্থান করতে হচ্ছে। অপর সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে ঈদ করবেন।
এছাড়া দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরার নিজ বাসায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান গুলশানে নিজ নিজ বাসায় ঈদ করবেন।
স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঢাকার নিজ নিজ বাসায় ঈদ করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে জানান, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ দুই বছর পর গুলশানে নিজ বাসায় ঈদ করলেও কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। দলীয় নেতারাও সাক্ষাৎ পাবেন কি না জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রতিবছর ঈদের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ করেন। এবারও সে ধরনের কর্মসূচি থাকতে পারে। এছাড়া দলের নেতারা ঈদের দিন বনানীতে জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করতে পারেন।
শায়রুল বলেন, প্রতিবছর সিনিয়র নেতারা দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সে ধরনের কোনো কর্মসূচি থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/