বুধবার (১৭ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে ‘২০২০-২১ অর্থবছরে গতানুগতিক উচ্চবিলাসী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট ভাবনা থেকে বেরিয়ে মানবকল্যাণে করোনা সঙ্কটকালীন যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত বাজেট প্রত্যাশা’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অফ বাংলাদেশ।
রিজভী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট একেবারে শুভঙ্করের ফাঁকি। বাজেটের মধ্যে ফুটে উঠেছে সরকারের নির্মমতা, নির্দয়তা। বাজেট পাস হয়নি এর আগে মোবাইল থেকে টাকা কাটা শুরু হয়েছে। এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যখাত। সে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে গতানুগতিক। বিশেষভাবে কিছু করা হয়নি।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা দুর্নীতির মহোৎসব ভয়াবহতা দেখলাম। সরকারের অদক্ষতা দেখলাম। আজকে মাস্ক নেই, হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন নেই। এগুলো কিভাবে আনা যায়, অভাব পূরণ করা যায় তা বাজেটের মধ্যে নেই। এ বাজেট শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট।
করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে করোনা সুরক্ষা নেই। সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার কারণে চিকিৎসা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে এর কোনো দিকনির্দেশনাও নেই। বাংলাদেশের হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় ৮৬ শতাংশ নার্সদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার ছিল। তাদের সেই প্রশিক্ষণ নেই। ফলে যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। প্রশিক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার তাও বাজেটে নেই। বাজেটে মানুষ বাঁচানোর কোনো পদক্ষেপ নেই বরং মানুষ যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, জবাবদিহিতা থাকলে সারাদেশে করোনায় সয়লাব হতো না।
এরপর দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী মোরে জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী মোহাম্মদপুর ছাত্রদল আয়োজিত খাদ্য বিতরণে যোগদান করেন রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গেছেন। অল্পসময়ের মধ্যে এমন কোনো সেক্টর নেই যে তিনি উন্নয়ন করেননি। এজন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। তার সততা দেশপ্রেম মানুষ ভুলে যায়নি। তার অবদান মানুষ কোনোদিন ভুলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/