ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

স্বাস্থ্যের ডিজি আতঙ্ক ছড়ানোর তত্ত্ব কোথায় পেলেন: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
স্বাস্থ্যের ডিজি আতঙ্ক ছড়ানোর তত্ত্ব কোথায় পেলেন: রিজভী

ঢাকা: ‘প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সহসাই নির্মূল হচ্ছে না, করোনা পরিস্থিতি তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি স্থায়ী হবে’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে সিএমএইচে দুই-তিন সপ্তাহ করোনা চিকিৎসা শেষে ডা. আজাদ দেশে আতঙ্ক ছড়ানোর এই তত্ত্ব কোথায় পেলেন? 

তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর অধিকার আবুল কালাম আজাদের নেই। বরং চিকিৎসক হিসেবে মানুষকে অভয়বাণী শোনানোই তার দায়িত্ব ছিল।

শনিবার (২০ জুন) সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ভবিষ্যদ্বাণী দিতে গেলেও এর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের উল্লেখ থাকতে হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের ডিজি তা করেননি। এমন কথাবার্তা কী এই সময়ে ডিজি সাহেবকে মানায়? করোনা চিকিৎসায় সুচিকিৎসা, মানুষকে সচেতন করা ও প্রকৃত সত্য তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের। কিন্তু মহামারির সময় দুনিয়া জুড়ে সবাই যেখানে আজকের পরিস্থিতি আজকেই সামাল দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সেখানে ডিজি আছেন দুই তিন বছরের চিন্তায়!

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে আর কোনো চটুল বক্তব্য শুনতে রাজি নয়। পরিস্থিতি সামাল না দিতে পেরে অবান্তর কথা, অন্যের ওপর দোষারোপ করে নিজেদের অজ্ঞতা-অযোগ্যতাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। জনগণ ক্ষমতাসীনদের অজ্ঞতা-অযোগ্যতার বলি হতে পারে না।

রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে দুর্নীতি সর্বকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই মহামারির সময়েও অবিশ্বাস্য গতিতে চলছে দুর্নীতির এক্সপ্রেস ট্রেন। এই দ্রুত গতির ট্রেন থামানোর বদলে নানাভাবে প্রশ্রয় দিয়ে আসা হচ্ছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। দুর্নীতিবাজদের শাস্তির বদলে রক্ষার চেষ্টায় অনিয়ম বাড়ছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের অনেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কেনাকাটায় পুকুর চুরির খবর থেকে বোঝা যায় আমাদের স্বাস্থ্য খাত বালির বাঁধের মতো হয়ে আছে। বৃহৎ দেখালেও মূলত এর ভেতরটা সারশূন্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কাদের জন্য এ জিজ্ঞাসা এখন সবার। দুদক মূলত বর্তমান একচক্ষু সরকারের প্রতিহিংসা পূরণের যন্ত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
এমএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।