বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাবিশ্ব এখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত, মানবিক দুর্যোগ চলছে, মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছে না, আর এ অবস্থায় ইসি উপ-নির্বাচন করতে চাইছে।
‘দেশে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। এটার নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড রিজিম। এতে ইসি ও নির্বাচনের দরকার আছে। ইসি বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে। এই কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়া যাবে না। ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম হয়েছেন। কতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ৩৫ লাখ মানুষ আসামি হয়েছেন। খালেদা জিয়াকে জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ইসি ভালো কিছু করবে না।
‘নির্বাচন ঠিকভাবে করতে না পারলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ’
আলোচনাকালে সম্প্রতি করোনা ইস্যুতে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, টিভিতে দেখলাম সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ওই হাসপাতালের মালিকের ওঠা-বসা। সরকারের মদদে রিজেন্টের মালিক এসব অপকর্ম করেছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডকট্রিন অব নেসেসিটির কথা বলে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দুই বছর ছিল। এখন কেন করা যাবে না? এখন ভোট হলে যারা ভোট দিতে যাবেন তাদের করোনা সংক্রমণ হতে পারে। সরকার বলছে জনগণকে ঘরে থাকতে, আর নির্বাচন কমিশন জনগণকে ঘরের বাইরে আনতে চাইছে।
বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
এমএইচ/এইচজে