মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাতে এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাহজাহান সিরাজ ছিলেন দেশের একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা উত্তর গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের আন্দোলনে তার ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশ ও গণতন্ত্র সুরক্ষার আন্দোলনে আপসহীন নেতৃত্ব তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তিনি মাতৃভূমির প্রতি ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনই ছিল তার রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তি ও সকল কর্মকাণ্ডের উৎস। জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন আপনজন। শাহজাহান সিরাজ জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রী হিসেবে সরকারের দায়িত্ব পালনের সময় দেশের টেকসই উন্নয়নে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
মির্জা ফখরুল বলেন, অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবেও তিনি জাতীয় সংসদে ভূমিকা রেখেছিলেন জনগণের অধিকার রক্ষায়। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয়
ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকারে শহীদ জিয়া প্রবর্তিত ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে তিনি ছিলেন অবিচল, এ ক্ষেত্রে তার অবদান বাংলাদেশের মানুষের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের এই দুর্দিনে তার মতো একজন অভিজ্ঞ ও আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ