শুক্রবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কাটাবনের এলিফ্যান্ট রোডে এমাজউদ্দীনের বাসায় তার মরদেহে বিএনপির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি কিছুক্ষণ তার মরদেহের সামনে নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এভাবে চলে যাবেন এটা আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভার্চ্যুয়ালে জিয়াউর রহমান সাহেবের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। তার এই চলে যাওয়া আমাদের জন্য একটি বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করলো।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
প্রবীণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদকে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ সাহেব বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন। স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন নির্লোভ নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ছিলেন। আমাদের চরম দুর্ভাগ্য আমরা এরকম একজন অভিভাবককে শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতি হারাল।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি সবসময় চেয়েছেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটা উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মিত হোক, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হোক, জনগণের মুক্তি হোক। তিনি সারাজীবন ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের জন্য তার লেখনি অব্যাহত রেখেছেন। তার জীবনের সমস্ত কর্মটাই ছিলো এই বাংলাদেশের জন্য।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সদরুল আমিন, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা সুরঞ্জন ঘোষসহ বিশ্ববদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকালে বাসায় ছুটে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবালুর রহমান রোকন, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি নেতারা। তারা সদ্য প্রয়াত প্রবীণ এই শিক্ষকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ২০ দলীয় জোটের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ পৃথক শোকবার্তায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
এমএইচ/এনটি