শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, করোনার আঘাতে অসুস্থ মানুষের প্রতি সরকার যেমন কোন দায় বোধ করেনি ঠিক তেমনি বন্যাকবলিত লাখ লাখ অসহায় মানুষের প্রতিও সরকার ভ্রুক্ষেপহীন।
তিনি আরও বলেন, ২৩ দিন ধরে অতিবাহিত হওয়া বন্যা পরিস্থিতির এখনও কোন উন্নতি নেই। বরং দিনকে দিন বন্যা প্রলয়ঙ্করী রূপ ধারণ করছে। বন্যা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরো তিন সপ্তাহ স্থায়ী হবে। যদি তাই হয় তাহলে বাংলদেশের ব্যাপক এলাকা পানিতে ডুবে অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করবে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ ব্যাপক এলাকায় নদী ভাঙন বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে। নদী ভাঙনের ফলে বন্যা দুর্গত এলাকায় পাট, ধান, সবজিসহ ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি, গবাদি পশু নদীর পেটে চলে গেছে। নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে বাঁধ ভাঙা এলাকার লোকজন।
রিজভী বলেন, ফসল আবাদ করে যে মানুষগুলি স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতো তারা এখন বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্রে দুই মুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে। নদী ভাঙন রোধে সরকারের দ্রুত কোন তৎপরতা নেই। ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষগুলোকে সহায়তা করতে সরকারের শৈথিল্য পরিস্থিতিকে চরম অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমনকি গবাদি পশু ও শিশু খাদ্যের সংকটও চরম মাত্রায় বিরাজমান।
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমাজের বিত্তবানদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আবারও জোর আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ