ঢাকা: হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তা তার মৃত্যুর পর থেমে যায়নি, বরং বেড়েছে বহুগুণে। আর এ জনপ্রিয়তার বহিঃপ্রকাশ বইমেলার অন্যপ্রকাশ স্টলে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম দিন থেকেই অন্যপ্রকাশে ভিড় ছিল অন্য স্টলের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ একটাই, অন্যপ্রকাশে আছেন হুমায়ূন! তার বই।
স্টলের সামনে দাঁড়ালেই মনে হবে দক্ষিণ হাওয়ার বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাতছানি দিচ্ছেন তার অগণিত পাঠক-ভক্তকে। তবে তিনি অধরা!
একাদশ শ্রেণিতে পড়া মেয়ে নীলকে নিয়ে বইমেলায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন। কথা হলে নীল বলেন, বাজারে কাটতির দিক থেকে হুমায়ুন আহমেদের জায়গা নেওয়ার মতো কোন লেখক এখনো বাংলাদেশে নেই। আর তার লেখা ভীষণ ভালোও লাগে।
অন্যপ্রকাশের চিত্র দেখলেই বোঝা যায়, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের আবেদন কেমন। আর তার বইয়ের সংখ্যাতো অনেক। আগে যারা যে বইগুলো পড়েনি, এখন তারা সেগুলো পড়ছে। আবার প্রতিবছরই নতুন নতুন পাঠক তৈরি হচ্ছে। এই সবকিছু মিলিয়ে তার প্রতেকটি বই আবার নতুন করে ছাপা হয়ে পাঠকদের কাছে যাচ্ছে।
পাঠকরা বলছেন, এটা অনেক বড় একটি আনন্দের বিষয়। আমরা মনে করি, বাংলা সাহিত্যে এই রকম একটি লেখক পেয়েছি, যার প্রয়াণের ১২ বছর পরও তার বই একইরকমভাবে পঠিত হচ্ছে। যতদিন পৃথিবীতে বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা ভাষায় মানুষ কথা বলবে, বাংলা ভাষা মানুষ পড়বে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে।
অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মো. স্বপন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের বই এখনো পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে। অনেকেই আসছেন যারা তার বইগুলো সংগ্রহ করতে চান। আমাদের প্রকাশনীতে এখন পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের বিক্রিই সব থেকে বেশি।
অন্য প্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, একজন লেখকের প্রয়াণের প্রায় ১২ বছর পরও পাঠকরা তার বই একই রকম আগ্রহ নিয়ে পড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো লেখকের মৃত্যুর ১০ বছর পরও পাঠকরা তার বই পড়ে, তাহলে ধরে নেওয়া হয় তার বইগুলো কালজয়ী হবে। আমরা মনে করি হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে ইতোমধ্যে কালজয়ী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সৃষ্টিশীল মানুষেরা বেঁচে থাকে তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ নেই কিন্তু তার অসংখ্য ভক্ত-পাঠক রয়েছে। সেটা বইমেলার অন্যপ্রকাশের স্টলজুড়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ তার বই, নাটক, সিনেমা ও গানের মাধ্যমে পাঠকদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস