ঢাকা: দেখতে দেখতে অমর একুশে বইমেলার শেষ সময় চলে আসছে। মেলায় শিশুদের আগামীর পাঠক হিসেবে গড়তে রাখা হয়েছে শিশুপ্রহর।
নিয়মিত দিন মেলা বিকেল তিনটা থেকে শুরু হলেও শিশুপ্রহরে মেলার কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে। মাসব্যাপী মেলায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিশুপ্রহরের অষ্টম দিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছুটির দিন হওয়ায় আগের মতো অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় এসেছে নানা বয়সী শিশু। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় সিসিমপুরের আয়োজন। হালুম, ইকরিদের সঙ্গে বরাবরের মতো আনন্দে মেতে ওঠে তারা। পাশাপাশি শিশু চত্বরের থাকা স্টলগুলোতে ভিড় জমিয়েছে তারা। বিভিন্ন ছড়া, গল্পের বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখছেন তারা। কখনো কখনো দৃশ্য কিংবা ছবি দেখে বই পছন্দ করে নিচ্ছে। অভিভাবকদের কাছে বায়না দিচ্ছে ভূতের কিংবা কার্টুনের বই নিতে।
শিশুপ্রহর উপলক্ষে মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জিয়ান।
কী কী বই কিনেছে জানতে চাইলে জিয়ান বাংলানিউজকে জানায়, মোল্লা নাসির উদ্দীনের গল্প আর বুদ্ধি খাটাও, ধাঁধার জবাব দাও বইগুলো সংগ্রহ করেছে সে।
পাঠ্যপুস্তকের বাইরে গল্পের বই পড়তে ভালো লাগায় এসব বই নেবে বলেও জানায় জিয়ান।
পাশে থাকা জিয়ানের মা বাংলানিউজকে বলেন, ছেলেকে বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে মেলায় আসা। আজকে শেষ শিশুপ্রহর। মেলায় ভিড় কম থাকায় বই কিনতে সুবিধা হয়েছে। ছেলেকে গল্পের বইয়ের পাশাপাশি ম্যাপও কিনে দিয়েছি।
শিশুপ্রহর হলেও শিশু কর্নার ছাড়াও মেলার অন্য স্টলগুলোতেও দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের ভিড় ছিল। তাম্রলিপি, পার্ল পাবলিকেশন্স, ঐতিহ্য, জিনিয়াস পাবলিকেশন্সসহ জনপ্রিয় প্রকাশনীগুলোতে পছন্দের বই খুঁজছেন তারা।
ঘাসফড়িং স্টলের বিক্রয়কর্মী চিত্রা রাণী দেব বাংলানিউজকে জানান, শিশুরা গল্পের বই বেশি কিনছে। আর একদম ছোটরা বর্ণমালা সম্পর্কিত বই নিচ্ছে। যেখানে ছবি আছে বেশি সেসব বইয়ে আকৃষ্ট হচ্ছে তারা।
শেষ শিশুপ্রহরে বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রি অন্যদিনের চেয়ে ভালো হচ্ছে। মেলার শেষ সময়ের কারণে সবাই বই কিনছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসকেবি/এএটি