ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

শেষ সময়ে জমজমাট বেচাকেনার আশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
শেষ সময়ে জমজমাট বেচাকেনার আশা ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা দেখতে দেখতে রোববার ২৬ দিনও পার হওয়ার পথে। প্রকাশকরা বলছেন, করোনা মহামারি-পরবর্তী নানা সংকটে জর্জরিত মানুষ অর্থ ব্যয়ে সংযমী হয়েছেন।

তাই এ বছর বইয়ের বিক্রি নিয়ে তারা শঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু গত ২৫ দিনে বইয়ের বিক্রি তাদের সেই শঙ্কা দূর করেছে।

ক্রেতা-পাঠকদের সরব উপস্থিতির কারণে এবার বিক্রি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। ফলে মেলার শেষ সময়ে, বিশেষ করে শেষের তিন দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলেই আশা তাদের।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মেলায় আসা অধিকাংশ মানুষের হাতেই ছিল বই। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী একাডেমি প্রাঙ্গণে মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরছিলেন কুষ্টিয়া থেকে আসা গোলাম কিবরিয়া। তিনজনের হাতেই বইয়ের ব্যাগ। কথা হলে জানান, মেয়ে এবং স্ত্রীর পছন্দের বেশকিছু বই কেনা হয়েছে। মেলা ঘুরে আরও কিছু বই কিনে তবে ফেরা।

মেলায় কথা হয় আরেক বই প্রেমিক অধ্যাপক কামালউদ্দীনের সঙ্গে। তিনিও তালিকা ধরে স্টলে স্টলে ঘুরে বই কিনছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে কলকাতায় ভারতীয় লেখক অন্নদা শঙ্কর রায়ের বাড়িতে তার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য কথা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ লেখক বাংলাদেশের পক্ষে অনেক লেখালেখি করেছেন। এ বছর ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ‘অন্নদা শঙ্কর রায়ের মুক্তিযুদ্ধ’ নামে বই প্রকাশ করেছেন। জার্নিম্যান বুকসের প্যাভিলিয়নে লেখকের হাত থেকে বইটি সংগ্রহ করেছি। বইমেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো এসে তালিকা ধরে বই কিনছি।

প্রকাশকরা জানান, ২৫ দিনের বই বিক্রি নিয়ে তারা খুশি। ২১ ফেব্রুয়ারির পর মেলায় যারা আসেন, তাদের বেশিরভাগই বই কেনেন।

ইত্যাদি প্রকাশনীর প্রকাশক জহুরুল আবেদিন জুয়েল বলেন, এ বছরের মেলায় পাঠকের উপস্থিতি ভালো। বই বিক্রিও অনেক ভালো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দুই বছর একেবারে মেলা জমেনি। সে তুলনায় এ বছর অনেক পাঠক এসেছেন।

প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, মেলায় এবার প্রথম থেকেই ভিড় বেশি। মানুষ মেলায় এসে ঘুরেছেন, অনেকে ছবি তুলেছেন। কিন্তু তারা বই কিনছেন শেষ সময়ে।

অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মনিরুল হক জানান, এ বছর বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। করোনার পরে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। সবকিছুর দাম বেশি। সংসারের অন্য খরচ মিটিয়ে বেশি দামে বই কিনতে চান না কেউ। তারপরও মানুষ মেলায় বই কিনেছেন।

সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, মানুষ সংযমী হয়েছেন। তারা মেলায় এসে দেখে দেখে বই কিনছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে বিক্রি আরও বাড়ত।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।