ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ নিয়ে যথেষ্ট পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির সচিব সেলিম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটি সদস্যসচিব সরকার আমিন।
বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আমরা অমর একুশে বইমেলার কার্যক্রম যথাসময়ের আগেই সম্পন্ন করে ফলতে পারব। আজ আমি মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছি।
তিনি বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। বইমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। সবদিক বিবেচনা করে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। সব মিলিয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, মেলার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে।
এ বছর মেলা একটু ঝুঁকি নিয়ে স্টল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট এক হাজার ৮৪টি।
তিনি জানান, এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ- প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। শনিবার বিকেল ৩ টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
জিসিজি/আরএইচ
