ঢাকা: বাংলা একাডেমি সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদদের সাহায্যে একটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এবছরের বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এরপর প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বইমেলা উদ্বোধন করেন।
ফারুকী বলেন, বাংলা একাডেমির সামনের পথচলা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে আমাদের আত্ম উপলব্ধি করতে হবে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুভব করেছি, নতুন চিন্তা যারা উস্কে দেয়, তাদের সঙ্গে বাংলা একাডেমির যোগাযোগ সীমিত। সেই কারণে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদদের সাহায্যে বাংলা একাডেমির একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হবে। তাদের কাজ হবে বাংলা একাডেমিকে একটি চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। একাডেমিতে পুরোনো চিন্তার গবেষণা যেমন হবে, তার সাথে নতুন চিন্তার যেন একটি সংযোগ হয়।
তিনি বলেন, আমরা একটা নতুন সময়ে আজ বইমেলা উদযাপন করছি; নতুন বাংলাদেশ। আমরা জানি, জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ একটা নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে। ফলে যারা নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে শহীদ হয়েছে, তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি শিল্প-সাহিত্যের একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে সর্বাগ্রে গবেষণায় মনযোগ দিতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলা একাডেমি উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলা একাডেমি ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং একবছর মেয়াদী ১০টি গবেষণা বৃত্তি আহ্বান করেছে।
অনষ্ঠানে বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্তরা পুরস্কার গ্রহণ করেন। কবিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাসুদ খানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন শামীম আরা খান বিথি। নাটক ও নাট্যসাহিত্যে গ্রহণ করেন শুভাশিস সিনহা গদ্য/প্রবন্ধে সলিমুল্লাহ খান অনুবাদে জি এইচ হাবীব গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এর আগে ১০ জনকে বাংলা একাডেমি পদক ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে সমালোচনার মুখে বাদ পড়েন মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১,২০২৫
এফএইচ/এএটি