প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে বইমেলায় উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। প্রথম দিনের মতো অগোছালো নেই অনেক স্টল।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টলের সামনে বই দেখছেন।
এদিন মেলায় এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ। মেলায় তার ‘আমার না বলা কথা’, ‘স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ’ নামের দুটি বই রয়েছে।
বহু বছর পর এ বছরের মেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান স্টল পেয়েছে। বইমেলায় জিয়া পরিষদ, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের স্টল দেখা গেছে।
এসব স্টল পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব এমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রায় ১৭ বছর পর আমরা স্টল পেয়েছি। বাংলা একাডেমি একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এটি কোনো দলীয় প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বাংলা একাডেমি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে কুক্ষিগত ছিল। এ বছরও আমাদের স্টল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
রোববার মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হেলাল হাফিজের রাজনৈতিক পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুদরত-ই-হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মৃদুল মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন সুমন রহমান।
প্রাবন্ধিক কুদরত-ই-হুদা বলেন, উনসত্তরের গর্ভ থেকে যেসব কবির জন্ম হয়েছিল, কবি হেলাল হাফিজ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতার উচ্চারণ ছিল রাখঢাকহীন, স্পষ্ট, অনাবিল ও অভাবিত। কবিতা তার কাছে কেবল ব্যক্তিগত বিষয় ছিল না। তিনি মনে করতেন, সমষ্টির জন্যও কবিতার একটা দায় আছে। সত্তর থেকে চুয়াত্তরের মধ্যে যে রাজনৈতিক কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, সেগুলোর মূল সুর কখনো মুক্তিযুদ্ধ, কখনো স্বাধীনতা-উত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতিজাত হতাশা, আশাবাদ, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অবস্থা ও অবস্থান, রাষ্ট্রের কাছে কবির প্রত্যাশা, তার কবিতায় কখনো প্রত্যক্ষভাবে কখনো পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।
সভাপতির বক্তব্যে সুমন রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঊনসত্তর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় সেই সময়টিকে ধারণ করেছেন। পাশাপাশি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় উদ্ভূত দ্রোহ, সংগ্রাম, আশাবাদ, বিষাদ সব কিছুই তিনি কবিতায় তুলে এনেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৫
এফএইচ/এমজেএফ