ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

হই-হুল্লোড় ছোটাছুটি, বই কেনার ধুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪
হই-হুল্লোড় ছোটাছুটি, বই কেনার ধুম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: পলাশ-শিমুল-গাঁদাসহ হরেক রকম ফুল ফুটিয়ে দু’দিন আগে বসন্ত এলেও বসন্তের পাখি কোকিলের কুহুতান শোনা যায়নি এখনো। তাতে কি বসন্ত থেমে থাকবে? না।

ঋতু বৈচিত্রের অমোঘ নিয়মেই বসন্ত আজ তৃতীয় দিনে পা রাখল।

শনিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বসন্তের শ্যামা-ময়না-কোকিলের কলকাকলি একদম ভুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুদে বইপ্রেমীরা। তাদের ছোটাছুটি, হইহুল্লোড় আর কিচিরমিচিরে বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রাঙ্গণে যেন পূর্ণ বসন্ত নেমে এসেছে।
 
তাদের জন্যেই প্রতি শনিবার বইমেলায় থাকে বিশেষ আয়োজন, শিশুপ্রহর। আর তাতে মা-বাবা, কাকা-মামার কোলে চড়ে অথবা হাত ধরে বই মেলায় ছুটে আসে ক্ষুদে বইপ্রেমীরা। রংবেরঙের পোশাকে তাদের দেখতে ফুল-পাখির মতোই মনে হয়। আর দেখতে যারা ফুল-পাখির মতো তাদের কি কেবল চুপ করে বই কিনলেই চলে? একদমই না।
 
গত দু’দিন বসন্তের বাতাস কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও তৃতীয় দিনে এসে একেবারেই দিকভ্রষ্ট। শিশুদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে এদিক-সেদিক।
 
এমন কাণ্ডকারখানায় মনে হতে পারে বইমেলাতো নয়, বুঝি শিশুপার্ক। কিন্তু একেবারেই না। তাতে মোটেও থেমে নেই বইয়ের বিকিকিনি। বরং, বই কেনার ধুম পড়েছে বলা যায়। স্বাভাবিকভাবেই তা শিশুদের বই বেশি।
 
এর মধ্যে গোয়েন্দা উপন্যাস, অ্যাডভেঞ্চার, রম্যগল্প, রূপকথার বই, সায়েন্স ফিকশন এবং ছোটদের বিজ্ঞান বিষয়ক বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুগ্রন্থ প্রকাশনিগুলোতে ভিড় বেশি। এর মধ্যে শিশু একাডেমি, ঝিঙেফুল, শিশু ঘর, টোনাটুনি, পাতাবাহার, শিশু প্রকাশ, প্রিয় প্রকাশের স্টলের কাছে ভেড়ার সুযোগ নেই।
 
তাথৈ এসেছে বাবা তানজিল হোসেনের সাথে। মাস্টার মাইন্ড স্কুলে কেজিতে পড়ছে রায়সা তাসনিম তাথৈ। সে বাংলানিউজকে জানায়, দাদুর মুখে গল্প শুনতেই তার বেশি ভাল লাগে। মেলার ‘ডাক’ প্রকাশনি থেকে তাতৈ কিনেছে বাংলা বর্ণমালার বই, দুটি ইংরেজি গল্প এবং আর্টের বই।
 
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেজি-২ এর ছাত্র আফনান জারিফ হক মা-মামার সাথে মেলায় এসেছে। ছোটোদের ‘মেলা প্রকাশনি’ থেকে সে কিনেছে ভূতের গল্পের বই, অ্যাংরি বার্ড।
 
‘ঝিঙেফুল প্রকাশনি’র স্বত্ত্বাধিকারী আরাফাত খান বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় ভিড় বেশি হলে পাঠক ইচ্ছেমতো  বই দেখে কিনতে পারে না। আজকে শিশুপ্রহর হওয়ায় মেলা অনেকটাই ফাঁকা। শিশুরা অভিভাবকদের সাথে ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো বই কিনতে পারছে।
 
তিনি জানান, আজ বিক্রিও ভাল হচ্ছে।
 
ছোটোদের প্রকাশনিগুলোর বাইরে নজরুল ইন্সটিটিউট, বাংলা একাডেমির স্টলেও ভিড় যথেষ্ট। তবে বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্রে ছোটদের বাংলা-ইংরেজি অভিধানই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ফুল-পাখি প্রকৃতি বিষয়ক বইগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ।
 
সব মিলিয়ে শিশু প্রহরে বই বিক্রির ধুম পড়েছে বলা যায়।

**কোলাহলে মুখর শিশুপ্রহর

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।