ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

একুশ না এলে পূর্ণতা পায় না ‘একুশে বইমেলা’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪
একুশ না এলে পূর্ণতা পায় না ‘একুশে বইমেলা’

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলা এখন বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।   বছরান্তেই লেখক, পাঠক, প্রকাশকরা অপেক্ষায় থাকেন মাসব্যাপী মেলার জন্য।

আর বছরজুড়ে চলে এর প্রস্তুতি।

আয়োজনে-আঙ্গিকে নতুন নতুন সব মাত্রাযুক্ত হয়ে প্রতি বছরই বইমেলা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বিগত বছরের মেলাকে। গুণগত পরিবর্তন যেমন ঘটছে পরিধি-পরিসরে, তেমনি প্রকাশনা-প্রকাশেও। সম্ভারে-সমাহারে মেলা হয়ে উঠেছে আরও বেশি প্রাঞ্জল।
 
বলার অপেক্ষা রাখে না, অপ-সংস্কৃতি বা রাজনীতির আস্ফালনের বিরুদ্ধে অমর একুশে বইমেলা ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে আরও রোমাঞ্চিত করে তোলে। তাই অন্যসব দিবসে, আয়োজনে মেলা অনেক বেশি জমে উঠলেও ২১তম দিনটি না আসা পর্যন্ত মেলা পূর্ণতা পায় না।

প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে এমনটাই জানালেন এ প্রজন্মের কয়েকজন লেখক, পাঠক, রাজনৈতিক কর্মী।

একটি ছাত্র সংগঠনের কর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালিদ মইনুদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বইমেলা সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে জোরালো হাতিয়ার। রাজনৈতিকভাবে সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীলতাকে পরাজিত করার পাশাপাশি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবেও পরাজিত করতে হবে। মুক্ত মতের মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পাব।

তিনি বলেন, মাসব্যাপী বইমেলা মুক্ত চিন্তার, মুক্ত মতের সাহস এবং উপাদানের যোগান দেয়।

তবে তরুণ এ শিক্ষার্থীর মতে, পহেলা ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস কিংবা ছুটির দিনগুলোতে মেলা জমে উঠলেও ২১ ফেব্রুয়ারি না আসা পর্যন্ত মেলায় পূর্ণতা আসে না।

তরুণ কবি অতনু তিয়াসও তাই মনে করেন। তার মতে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ অথবা ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ’মরি বাঙলা ভাষা’ গান না শুনলে যেমন ফেব্রুয়ারি মাসকে ফেব্রুয়ারি মাস মনে হয় না। বইমেলায় ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটিও তেমন। এ দিনটি মেলাকে পরিপূর্ণ করে তোলার পাশাপাশি বিদায়ী সুরও বাজিয়ে যায়।
 
বিশেষ এই দিনে বই কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন আবু নাসের ফয়সাল। বাংলানিউজকে তিনি জানান, পারিবারিক লাইব্রেরি থাকায় কৈশোর থেকেই পাঠাভ্যাস গড়ে ওঠে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে ফয়সাল দ্বিতীয়। পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন, কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ। তাই রোজ মেলায় আসা হয়ে উঠে না। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তার জন্য ভাল হয়েছে, না হয় ছুটি হলেও নিতেন।

ফয়সাল বোংলানিউজকে বলেন, একুশের বইমেলায় একুশ না এলে কি ভাল লাগে? আগে বাবা-মা’র হাত ধরে মেলায় আসতাম ঠিক এই দিনটিতে। এখন বার্ধক্যজনিত কারণে তারা কেউ আসতে পারেন না। আমার ভাই-বোনরাও বেশ পড়ুয়া স্বভাবের। তারা মেলায় এসে বই কিনে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমি আগে মেলায় এলেও বই কিনতে আসি ২১ ফেব্রুয়ারির দিন। এদিনই বই কিনতে আমার বেশি ভাল লাগে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪

* একুশের আল্পনা মিলেছে মেলায়
* এতবড় বইমেলা দেখিনি কখনো

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।