ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

জয়ের ভাবনা তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪
জয়ের ভাবনা তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভাবনা তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৭তম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মোদের গরব ভাস্কর্যের সামনে জয়ের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংকলিত ‘ফেসবুকে প্রকাশিত ভাবনা: বাংলাদেশ নিয়ে’ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচনকালে এ মত দেন তারা।



মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল আলম শাকিল প্রমুখ।

মোড়ক উন্মোচনকালে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের মতোই বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন। তার সেই ভাবনাগুলোই ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর এবং তার মামা শেখ রাসেলের বয়স ছিল ১০ বছর। ওই সময়ের ভাবনা খুবই অস্পষ্ট হওয়ার কথা, কিন্তু বইটিতে তিনি সে ভাবনাও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, একজন তথ্য প্রযুক্তিবিদ হিসেবে জয়ের যে ভাবনা এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে। কারণ একজন সফল তরুণের ভাবনা আরও দশজন তরুণকে প্রভাবিত করে। বইটি প্রকাশের মাধ্যমে সারা দেশের তরুণদের মাঝে তার ভাবনাগুলো পৌছেঁ যাবে।

গোলাম সারোয়ার বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রচুর পড়েন এবং লেখেন। তাঁর সন্তান হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়ও বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছেন এবং লিখছেন। জয় স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে স্বপ্নের দূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আশাকরি তিনি ভবিষ্যতেও এভাবে লিখে যাবেন।

শামসুজ্জামান খান বলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়তে সজীব ওয়াজেদ জয়ের লেখা এ বইটি পড়তে হবে। বইটি আমাদের মাঝে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করবে।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। এই ভাবনা থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয় বইটি লিখেছেন। আশা করি বইটি তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে এবং তাদের আগামী দিনের পথ চলায় পাথেয় হয়ে থাকবে।

ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতি, উন্নয়ন, সম্ভাবনা নিয়ে প্রকাশিত নিজের ভাবনাগুলোকে সংকলন করে বইটিতে তুলে ধরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ‘ফেসবুকে প্রকাশিত ভাবনা: বাংলাদেশ নিয়ে’ শীর্ষক  বইটি প্রকাশ করেছে আমার প্রকাশনী।

সুশান্ত দাস গুপ্তের সম্পাদনায় বইটির প্রচ্ছদ করেছেন তাপস সরকার। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে দুইশত টাকা।

সংকলিত গ্রন্থটির ভূমিকায় ‘কেন আমি ফেসবুকে’ শিরোনামে জয় লিখেছেন, ‘আমি তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি হিসেবে ফেসবুক ও স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। তরুণরা তাদের অধিকাংশই অনলাইনের বিভিন্ন উৎস যেমন ফেসবুক হতে পায়।

আমি মনে করি অনলাইনের রাজনৈতিক কার্যক্রম দলের সমর্থকদের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে পারে। আমি দেখলাম তরুণদের বড় একটি অংশ রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হতে আগ্রহী, কিন্তু তারা গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতিতে জড়াতে চায় না এবং সমাবেশ-মিছিলও করতে চায় না।

রাজধানীর বাইরে স্থানীয় কমিটির জন্য স্যোশাল মিডিয়া আমাদের বার্তা প্রচারে একটি অসাধারণ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

আজকালের দিনে পৃথিবীব্যাপী সেলিব্রেটি এবং রাজনীতিবিদরা ফেসবুক পেজ এবং তাদের টুইটারের মাধ্যমে বিবৃতি পোস্ট করছেন, যা মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো লুফে নিচ্ছে। এটা বিশ্বের একটি প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এটা আমাদের এবং সংবাদ মাধ্যমের অনেক অনেক সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে দিচ্ছে, যাতে প্রতিদিনকার ইস্যুর জন্য আমার প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করা বা প্রেস রিলিজ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না। সংবাদ কর্মীদের আমার বক্তব্য ধারণের জন্য সময় নিয়ে পার্টি অফিসে আসতে হচ্ছে না।

ফেসবুক পেজে আমি নেতিবাচক মন্তব্যও পেয়ে থাকি। তবে নেতিবাচক সমালোচনা আমাকে বিরক্ত করে না। এবং আমার নীতিকে সেসব সেন্সর করা হয় না। আমি যদিও কিছু অবমাননাকর মন্তব্য বা আমার ও পরিবারের বিপক্ষে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তা সেন্সর করি।

যেসব তরুণ রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নয়, তারা ফ্যানপেজের মাধ্যমে আমার মতো ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের কাছে আসার অবারিত সুযোগ পাচ্ছে বলে আমি আশা করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পেজটির বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে এই যোগাযোগ একমুখি হয়ে যাচ্ছে।

তরুণদের জন্য আমি নতুন কিছু ধারণা নিয়ে চিন্তা করছি, কিন্তু এখনি কোনো একটি নির্দিষ্ট হয়নি। নির্বাচন এক-দেড়মাস হলো শেষ হয়েছে, আগামী পাঁচ বছর নিয়ে পরিকল্পনা করার সময় আমি এখনও করে উঠতে পারিনি। ’

বইটিতে গত বছরের ২ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জয়ের পোস্ট করা বক্তব্য ও ছবি তুলে ধরা হয়েছে।

‘প্রমাণ হয়েছে জামায়াত পাকিস্তান দল’, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে হত্যার হুমকি’, ‘লেটস টক/অর্ধেক পথ বাকি: জয়’, ‘অধিকারের প্রতিবেদন মিথ্যা’, ‘তাদের স্মরণ করি’, ‘আদিলুর মিথ্যা প্রচার করেন’, ‘জাতির ইতিহাসে কালো দিন’, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’, ‘মায়ের উপর গ্রেনেড হামলা’, ‘বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব’, ‘বিব্রতকর সংবাদ’, ‘প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’, ‘এত দ্রুত উন্নয়ন আগে হয়নি’, ‘মন্ত্রীর উপর হামলা’, ‘কাদের মোল্লার ফাসিঁর রায়’, ‘বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ’, ‘সাকার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক লেখাসহ মোট ৪১টি লেখা সংকলিত হয়েছে বইটিতে।

তবে, সংকলনের প্রথমেই স্থান পেয়েছে গত বছরের ২৭ জুলাই নিজের জন্মদিনে পোস্ট করা রান্নাঘরে মায়ের মোরগ-পোলাও রান্নার বহুল আলোচিত ছবিটি । সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলের জন্মদিনে নিজের হাতে রান্না করেছিলেন মোরগ-পোলাও।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।