ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

জনপ্রিয় লেখকে আগ্রহ পাঠকের

আদিত্য আরাফাত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
জনপ্রিয় লেখকে আগ্রহ পাঠকের ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: গুছিয়ে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। সবগুলো স্টলই এখন পরিপাটি।

নেই পেরেক ঠোকার শব্দ, রংয়ের ঝাঁঝালো গন্ধ। বইমেলা জমছে এখন ঠিক মেলার মতোই।
 
শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেলার ঝাঁপি ১১টায় খুললেও দর্শনার্থী দেখা গেছে বিকেল থেকেই। বিকেল ৪টার পর থেকে বইপ্রেমীদের উপস্থিতিতে মেলা চত্ত্বর মুখরিত হয়ে উঠেছে।
 
জনপ্রিয় লেখকদের পাশাপাশি এবার মেলায় আসছে তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের নানা ধরনের ব্যাপক সংখ্যক বই। কিন্তু প্রচারণার অভাবে এসব লেখকের বই পাঠকদের মনোযোগ তেমন একটা আকর্ষণ করতে পারছে না। অধিকাংশ পাঠকের মনোযোগ প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয় লেখকদের বইয়ের প্রতি।
 
ফলে মেলায় জনপ্রিয় লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোতেই দেখা যায় পাঠকদের ভিড়। যে ভিড় প্রতি বছরই দেখা গেছে।
 
মেলায় আসা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি সায়েন্স ফিকশন কিনেছি। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের হিমু সমগ্রও নিয়েছি। ইমদাদুল হক মিলনের বইও তিনি নেবেন বলে জানান।
 
জনপ্রিয় লেখকদের বই কেনায় আগ্রহ কাওসারা শবনমেরও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী বলেন, আমার পছন্দের লেখকের তালিকায় এবারও হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল ও মোহিত কামাল।

এবারের বইমেলায় তাদের কি বই বের হয়েছে তার তালিকা সংগ্রহ করে পরে কয়েকদিন পর কিনবেন বলে জানালেন।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে বইমেলায় এসেছে ৭ শতাধিকের বেশি নতুন বই। এতো বইয়ের মাঝেও ভালো বইয়ের অভাব অনুভব করছেন পাঠকরা।
 
তবে মেলার আরও ২১ দিন বাকি থাকার কারণে তারা ভালো বইয়ের আশায় বুক বেঁধেছেন। প্রকাশক ও লেখকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিনের মধ্যে বেশকিছু ভালো বই আসবে। অনেক লেখক তাদের নতুন বইয়ের কাজ শেষ করেছেন, পাণ্ডুলিপিও প্রস্তুত। তাদের কথা—মেলার মাঝামাঝিতে বেশিরভাগ বই চলে আসবে।

মেলার প্রথম সপ্তাহে প্রচুর দর্শনার্থী থাকলেও ভালো বই ছিল তুলনামূলক কমই। দর্শনার্থীরাও মেলা ঘুরেছেন, বইও কিনেছেন। তবে প্রকৃত অর্থে মেলার মাঝামাঝিতে বিক্রি হবে বেশি—এমনটাই আশাবাদ প্রকাশকদের। অন্যদিকে যারা সিরিয়াস পাঠক, তারা মেলার মাঝামাঝিতে আসেন। এর পেছনে কারণ হলো, তখন তারা একসঙ্গে পছন্দের অনেক বই কিনতে পারেন। তখন বই বিক্রির পরিমাণ এমনিতেই অনেক বেড়ে যাবে।
 
শনিবার সকালে শিশুপ্রহর থাকলেও এদিন শুক্রবারের মতো ভিড় দেখা যায়নি। তবে সকালে শিশুদের উপস্থিতি একবারে কম ছিলো তাও বলা যাবে না। শিশুদের অনেকেই এদিন তাদের পছন্দের বই বেছে নিয়েছে।
 
এদিকে একাডেমির তথ্য কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ৪টা পর্য্যন্ত নতুন শতাধিক বই জমা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গল্প, কবিতা, উপন্যাসসহ বিভিন্ন ধরণের বই।
 
এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিকেলের আলো যতো ক্ষীণ হচ্ছে ততোই পাঠক-লেখক-প্রকাশকের সমাগম বাড়ছে মেলায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫

** মেলায় শিশুদের যত বই
** প্রথম সপ্তাহের নতুন বই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।