বইমেলা থেকে: দেখতে দেখতে চলে গেল অমর একুশে গ্রন্থমেলার এক সপ্তাহ। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি।
রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বইমেলার দরজা খোলার কথা থাকলেও দুপুর আড়াইটা থেকেই লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় মেলার বাইরে।
ঠিক বিকেল ৩টায় মেলার দরজা উন্মুক্ত হওয়ার পর সাড়ে ৩টা নাগাদ পূর্ণতা পায় মেলার আমেজ। এ যেন বাঙালিদের প্রাণের উৎসব, এ যেন জয়নুল আবেদিন আঁকা ‘নবান্ন’।
বিকেল সোয়া ৩টার পর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমির অংশ ঘুরে দেখা যায় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের ৫৬৫টি স্টলের মধ্যে বেশিরভাগ স্টলের পর্দা খোলা হয়েছে। স্টলের বিক্রয়কর্মী ও কর্মকর্তারা প্রস্তুত হচ্ছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য।
এদিকে, ধুলার কবল থেকে পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীদের বাঁচাতে রোববার দুপুরে মেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগ থেকেই পানি ছিটানো হয়েছে মেলার দুই অংশেই। অন্যদিনের মতো প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার ব্রিগেডের অগ্নিনির্বাপক গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেলার অষ্টম দিনে ৮৪টি নতুন বই জমা পড়েছে। দিন শেষে আরও ১৫টি বই জমা পড়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এই বইগুলোর মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হবে মেলার বংলা একাডেমি নজরুল মঞ্চে।
বইগুলোর মধ্যে পিনাকী দাসগুপ্তের ‘আদরের রাগ’, নাছিমউদ্দিন মালিথার ‘রবীন্দ্রলোক’ আবু জাফর আব্দুল্লাহর ‘বিনত জ্যোৎন্সায় রাতভর জেগে’ উল্লেখযোগ্য।
এদিন বিকেল ৪টা থেকে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন জন্মশতবর্ষ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন- শিল্প-সমালোচক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেবেন- অধ্যাপক আবুল মনসুর, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং শরীফ আতিক-উজ-জামান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫