বেলা তখন ৪টা, মেলার মাঠ শূন্যস্থান পূরণের মতো হা হয়ে আছে। পাঠক-ক্রেতা শূন্যতায় যখন মূল মেলা ধুকছে, তখন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ জুড়ে মানুষের কমতি নাই।
আরেকটু পরই তথ্য কেন্দ্রের সামনে চ্যানেলের ক্যামেরাগুলো অন হবে। সেটাও অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রে।
তবে মানুষ আসছে। দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধের যে আতঙ্ক, তার তিলমাত্রও নেই মেলায়। কথা হয় কলাবাগান থেকে আসা আরমান নামে একজনের সঙ্গে। পড়েন ইউল্যাবে। কী বই কিনলেন, জানতে চাইলে জানালেন, মেলায় এর আগেও এসেছেন এবং আজও আসছেন বন্ধুদের সঙ্গে। বই এখনও কেনেননি, কেনার ইচ্ছা আছে মেলার শেষের দিকে। তবে মেলায় এলে ভাল লাগে।
কথা হয় কবি, অনুবাদক আয়শা ঝর্নার সঙ্গে। তিনি আজই প্রথম মেলায় এসেছেন। জানালেন, প্রতি বছর মেলা জমে মাঝামাঝি সময়ে, এবারও তেমনই হওয়ার কথা। অনেক বই-ই এখনও আসেনি, সে সময়টার অপেক্ষা।
মেলায় এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক মঞ্জু সরকার। তিনি জানালেন, দেশের এই অবস্থায় মেলায় এলে অনেকটাই স্বস্তিবোধ করেন। তাই মেলায় আসা। এরই মধ্যে মেলায় এসেছে তার গল্পগ্রন্থ ‘রূপান্তরের গল্পগাথা’ ও শিশুতোষ বই ‘ছদ্মবেশী ভূত’।
কথা হয়, কথাসাহিত্যিক, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ মেলা তো শুধু বই বিক্রির মেলা নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতির কেন্দ্রও। আর দেশের অস্থির অবস্থান মধ্যেও মেলার অবস্থা যথেষ্ট ভাল। বিশেষত, প্রকাশকদের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। প্রকাশকদের মুখে হাসি, মেলায় গুরুত্বপূর্ণ।
সন্ধ্যার পর মূল মেলা জমে উঠবে তেমনটা আশা থাকবেন বাস্তবে ঘটেনি। কয়েকটি প্যাভিলিয়নে পাঠক-ক্রেতার ভীড় থাকলেও পুরো মেলা জুড়ে গুটিকয় মানুষকে ঘুরতে ফিরতে দেখা গেছে। তবে এ অবস্থা খুব দ্রুতই বদলে যাবে তেমন আশা অনেক প্রকাশকের।
বাংলাদেশ সময় : ১১১৩ ঘন্টা,ফেব্রুয়ারি ২০১৫