ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর থ্রিলার উপন্যাস ‘বাঘবন্দী, দ্য মাইন্ড গেম’।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে রূপসী বাংলা স্টলে উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে।
উপন্যাস নিয়ে শোনা যাক লেখকের মুখেই, বাঘবন্দী, দ্য মাইন্ড গেমের কাহিনী ঠিক করেছিলাম একটি থ্রিলার উপন্যাস লিখব বলে। পাকেচক্রে সেটা হয়ে গেছে সাত পর্বের টিভি ধারাবাহিক। এখন বাঘবন্দী, দ্য মাইন্ড গেমকে তার কাঙ্ক্ষিত রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমার এ উপন্যাস।
যারা টিভি সিরিয়ালটি দেখেননি তারা তো বটেই, যারা দেখেছেন তারাও বাঘবন্দীকে নতুনরূপে আবিষ্কার করবেন বলে লেখক মনে করেন।
সেই নতুন রূপের খোঁজ মিলবে উপন্যাসটির পাতায় পাতায়। অতএব দেরি না করে ঝটপট নেমে পড়ুন বাঘবন্দী খেলায়।
ছোট্ট বয়সে ছোটগল্প দিয়ে ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর লেখালেখির শুরু। ডজন খানেক গল্প বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে সেই কলেজে পড়ার বয়সে। অতঃপর, সাংবাদিকতার ‘পোকা’ মাথায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরগোড়ায় পা। ভিডিও কমিউনিকেশন ও অ্যাডভার্টাইজিং ছিল স্নাতক পর্যায়ের কোর্স কারিকুলামের অংশ।
চলচ্চিত্র বিষয়ে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছেন স্নাতক পর্যায়েই। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স। অদ্যাবধি রয়েছেন সাংবাদিকতার সঙ্গেই। দেশের প্রথমসারির জাতীয় দৈনিকে কর্মরত।
লিখছেন টিভি নাটক। প্রচারিত নাটকের মধ্যে রয়েছে- মিতুর ৭১, কোড নেম আলফা, একটি গতানুগতিক প্রেমের গল্প (অমিতাভ রেজার সঙ্গে যৌথভাবে), সিটি লাইটস, সিনে ফোবিয়া, সারমেয়, চন্দ্রাহত, প্রেম এসে যাচ্ছে..., বিড়াল চোখ ইত্যাদি।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্টের ফ্রিল্যান্সার চিত্রনাট্য লেখক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন স্বল্প সময়ের জন্য।
বিশ্বের এক নম্বর রিয়েলিটি গেম শো ‘হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিওনিয়ার’র বাংলাদেশি সংস্করণ ‘কে হতে চায় কোটিপতি’র চিত্রনাট্য বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
সাম্প্রতিক কাজের মধ্যে রয়েছে এয়ারটেল নিবেদিত টেলিছবি ‘কিক অফ’র চিত্রনাট্য রচনা। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ছায়াছবি ‘চোরাবালি’র সহযোগী চিত্রনাট্য লেখক। আলোচিত ধারাবাহিকের মধ্যে রয়েছে- রেডিও চকোলেট রিলোডেড, ইউনিভার্সিটি ও পরিবার করি কল্পনা।
অন্যতম আগ্রহের বিষয় চলচ্চিত্র, ভিজ্যুয়াল মেথোডলজি ও ভিজ্যুয়াল কালচার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫