গ্রন্থমেলা থেকে: সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকরি চরিত্রগুলো যেনো শিশুদের কাছে স্বপ্ন। এ স্বপ্নই ধরা দিয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বটতলায়।
নাচ, গান আর কথায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ মাতিয়েছে জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্ররা। এতদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখে আসা জনপ্রিয় এ চরিত্রগুলো সরাসরি দেখে আনন্দের সীমা ছিলো না শিশুদের।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির বটতলায় পারফর্ম করে সিসিমপুরে জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরিরা। এই নামগুলো বাংলাদেশের শিশুদের কাছে অনেক চেনা পরিচিত নাম। সিসিমপুর নামের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এই চরিত্রগুলোর কেউ বই পড়তে, কেউ মাছ খেতে আবার কেউ ভাবতে ভালোবাসে।
অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষায় ছিলো শিশুরা। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে কে কার আগে বসবে এ নিয়েও ছিলো প্রতিযোগিতা। সন্তানদের সামনে দিয়ে বাবা মায়েরা পেছনে দাঁড়িয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে উত্তরা থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে আসা ৭ বছর বয়সী লাবিব আলবাব বাংলানিউজকে বলে, ‘হালুম, টুকটুকি, ইকরি দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে। অনুষ্ঠান শেষে আমি তাদের সঙ্গে হাতও মিলিয়েছি। ’
অনুষ্ঠানটি কি আর শুধু শিশুদের মজা দিয়েছে? বড়রাও শিশুদের মতো সমানতালে উপভোগ করেছেন সরাসরি সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ‘চরিত্রগুলো আমারও প্রিয়। তাই হল থেকে সরাসরি দেখতে ছুটে এসেছি। ’
শিশুদের অতিপরিচিত এই চরিত্রগুলো নিয়ে এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি চত্বরে অংশ নিয়েছে সিসিমপুর প্রকাশন।
সিসিমপুর স্টলের কর্মকর্তা ও ওয়াটার মার্কের কর্ণধার যাকারিয়া মোহাম্মদ পলাশ জানান, বইমেলার শিশুপ্রহরে শিশুদের বাড়তি আনন্দ দেওয়ার জন্যই ছিলো এ আয়োজন।
এদিকে সরাসরি এ অনুষ্ঠানটির শেষে প্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকিকে ছুঁয়ে দেখার বায়নাও ছিলো শিশুদের। সবার বায়না পূরণ করতে পারেনি চরিত্রগুলো। অনুষ্ঠান শেষেই তারা আবার বাবা-মায়ের কাছে। তবে অনুষ্ঠান শেষে চরিত্রগুলো বেশিক্ষণ অবস্থান না করে দ্রুত মঞ্চ ত্যাগ করে।
মেলায় মোট ৩৬টি উপকরণ নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের সিসিমপুরের স্টল। শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি এবারের মেলায় পাওয়া যাচ্ছে সিসিমপুরের সম্পূর্ণ নতুন চারটি ডিভিডি।
আরটিভিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার হবে সিসিমপুরের নবম সিজন। শুক্র, সোম ও বুধবার সিসিমপুর এ চ্যানেলে প্রচার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
** হাসান শান্তনুর ‘৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন’
** উদ্যানে লোক কম, প্রাঙ্গণে ভিড়