ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

দর্শনার্থীদের জন্য আরও কিছু বেঞ্চি চান কবি সৈয়দ তারিক

তানিম কবির, বিভাগীয় সম্পাদক শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
দর্শনার্থীদের জন্য আরও কিছু বেঞ্চি চান কবি সৈয়দ তারিক কবি সৈয়দ তারিক (পাশে গল্পকার শাহনাজ নাসরিন)

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় ‘ঐতিহ্য’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে আশির দশকে আবির্ভূত কবি সৈয়দ তারিকের পঞ্চম কবিতার বই ‘ঊনসন্ন্যাসী’। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘ছুরি হাতে অশ্ব ছুটে যায়’।



২০০৯ সালে ‘মগ্ন তখন মোরাকাবায়’ এবং ২০১১ সালে ‘আমার ফকিরি’ ও ‘নাচে দরবেশ মাস্ত্ হালে’র পর এ মেলায় প্রকাশিত হলো তাঁর পঞ্চম এ কবিতার বইটি।

সপ্তাহে তিনদিন করে নিয়মিত বইমেলায় আসছেন সৈয়দ তারিক। ১৮ ফেব্রুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে সদ্য প্রকাশিত বই, বইয়ের কবিতা ও বইমেলা সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বইয়ের কবিতাগুলো কোন সময়কালে রচিত জানতে চাইতে সৈয়দ তারিক বলেন, নতুন বইটির বেশির ভাগ কবিতা ২০০৪-৫ এ লেখা। ২০০৬-এর একটি ও ২০০৯ এর কয়েকটি আছে। ’


প্রায় প্রতিদিনই আপনাকে মেলায় দেখা যাচ্ছে, কেমন লাগছে এবার মেলায় এসে?

‘প্রতিদিন আসি না। সপ্তাহে তিনদিন। ভালো লাগছে। মেলার আয়তন বড়। ভিড় ঠেলাঠেলি কম। কবিতার বই বেশ কিছু বের হয়েছে। প্রথম বই অনেকের। এটা ভালো লাগছে। মেলায় অনেকের সাথে প্রথম দেখা। আবার অনেকের সাথে কেবল মেলাতেই দেখা হয়।

তিনি বলেন, বইময় পরিবেশে বেড়াতে, আড্ডা দিতে, বই কিনতে, দেখতে ভালো লাগে। সে কবে থেকেই না এই বাৎসরিক আনন্দমাস এটি!’

প্রথমবার বইমেলায় আসার কথা মনে আছে কিনা জানতে চাইলে সৈয়দ তারিক, ‘সম্ভবত ১৯৮১ সালে। তখন মেলার পরিধি ছিল ছোট। ভিড় অনেক কম। আর কিছু মনে পড়ছে না... ও হ্যাঁ, ৪২৫ টাকা দিয়ে চারখণ্ড ‘বাংলা বিশ্বকোষ’ কিনেছিলাম মুক্তধারা থেকে... এই। ’

ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দুইখণ্ডে বইমেলা আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি আমারও জাগে। কিন্তু এটি না হলে কেমন ভিড়-চাপাচাপি হয় বলুন তো! কিছু সুবিধার জন্য কিছু তো ছাড় দিতেই হবে। ’

পুরো মেলাটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শিফট’ করা যায় কিনা?

‘সেটা ভাবা যায়। বাংলা একাডেমিতে কেবল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলতে পারে। মাইকে বাজতে থাকা আলোচনা বা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শব্দ—বই খুঁজতে আসা পাঠকের মনোযোগকে বিক্ষিপ্ত করে। এ দুটো আয়োজন ভিন্ন জায়গায় থাকা ভালো। ’

কী পরিমাণ বই কিনলেন মেলা থেকে, কী ধরনের বইকে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবার?

‘প্রধানত কবিতার বই-ই কিনেছি। তরুণদেরই বেশি। সমসাময়িক বন্ধুদেরও। আরও কিছু বই কিনব। কবিতারই। ’

বইমেলা কেন্দ্রিক কোনও মজার বা উল্লেখযোগ্য ঘটনা?

‘তসলিমা নাসরিনের প্রথম বই বের হলো, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উৎসাহের সাথে ডেকে ডেকে লেখিকার প্রসংশা করে বইয়ের বিপণন করছেন, এই দৃশ্য মনে পড়ছে। তসলিমার স্বাক্ষর করা বইটা হয়ত এখনও আছে আমার কাছে।

আর, জাহিদ হায়দার একটি কাঠের টেবিল নিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে তার বই “খোলা দরজার দিন” বিক্রি করছেন। এই দৃশ্যটাও চোখে ভাসছে। প্রতিবার বইমেলায় এই একজনের সাথে দেখা হবেই। জাহিদ হায়দার। এবার এখনও হয় নি। ’

বাংলা একাডেমির প্রতি মেলা প্রাঙ্গণের ধুলো নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কোনও উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন এই কবি। এবং তাঁর চাওয়া, মেলায় আগত ক্রেতা দর্শনার্থীদের বসবার জন্য আরও কিছু বেঞ্চি বরাদ্দ করা হোক।

শিল্পী ধ্রুব এষের প্রচ্ছদে ৫৬ পৃষ্ঠার বইটিতে স্থান পেয়েছে মোট ৪৮টি কবিতা। গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫০-৫১-৫২ নাম্বার ইউনিটে ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে ‘ঊনসন্ন্যাসী’ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।