ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

রাত জেগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা নজরদারি

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
রাত জেগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা নজরদারি ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আর দু’দিন বাদেই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬। তাই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাতভর চলছে মেলার স্টল তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ।



বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টল মালিকরা দাঁড়িয়ে থেকে স্টলের সাজসজ্জার কাজের তদারকি করছেন।

এদিকে গোটা মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো এলাকা।
 
রাত ২টার দিকেও বিভিন্ন স্টলের ডিজাইন, কাঠের কাজসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গভীর রাতেও ফ্লাক্সে করে রঙ চা ও সিগারেট বিক্রি করতে দেখা গেছে এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাকে।

মধ্যরাতে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে দেখা গেছে, একটি স্টলের সাজসজ্জার কাজ তদারকিতে ব্যস্ত। অন্য স্টল মালিকরাও ছিলেন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
 
বাংলা একাডেমি চত্বরে স্টল তৈরির কাঠের কাজ করছেন মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার কাঁচিকাটা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব জহির। সঙ্গে রয়েছেন পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার ইয়াকুব আলী।
 
তারা জানান, বইমেলার শুরুর আগেই সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই রাতভর কাজ চলছে। রাতে কাজ করতে কোনো সমস্যা নেই। ডিবি পুলিশ ও পুলিশ সদস্যরা থাকেন দিন-রাত সব সময়।
 
প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) স্টলের ডিজাইনার আসিফ ইমতিয়াজ জানান, শেষ মুহূর্তে চলছে ডিজাইন ও কাঠের কাজ। শেষ করতে হবে বই মেলা শুরুর আগেই।
 
১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ডিউটি শুরু হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি থেকেই।

এসবি’র সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আমাদের সার্ভিলেন্স ডিউটি শুরু হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে। এছাড়া মেলার অন্যান্য নিরাপত্তায় কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে গোটা এলাকা।
 
এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা অন্য সব সময়ের তুলনায় বড় পরিসরে হচ্ছে। মেলায় ৬৫০ ইউনিট হচ্ছে। থাকছে ৪০২টি প্রতিষ্ঠানসহ ১৫টি চত্বর ও ১৫টি প্যাভিলিয়ন।
 
বাংলাদেশ: ০৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এসএমএ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।