গ্রন্থমেলা থেকে: ‘সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে’—তবে সরকারি ছুটির দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ক্ষেত্রে কথাটি প্রযোজ্য নয়। সরকারি বন্ধের এ দিনটিতে সকালের চিত্র ঠিক বিপরীত হয়ে ওঠে বিকেলে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেলার ঝাঁপি সকাল ১১টায় খুললেও এসময় কেবল শিশু ও তাদের অভিভাবকদের দেখা গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শিশু কর্নার থাকায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছিলো অনেকটা নীরব। একাডেমি প্রাঙ্গণে মূল মঞ্চে শিশুদের বক্তৃতা ও সাধারণ জ্ঞানের অনুষ্ঠান ছাড়া মেলার এ প্রান্ত দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিলো অনেকটা নিষ্প্রাণ।
উদ্যানে শিশু কর্নার থাকায় ওইসময় কেবল অভিভাবকসহ ছোটদের দেখা গেছে। শিশুপ্রহরের সময় ছোটদের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে শিশু কর্নার। তবে সে কলবর শিশু প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে কয়েকটি স্টলে সীমাবদ্ধ ছিলো।
সকালে মেলায় থেকে দেখা যায়, উদ্যান ও একাডেমির বেশ কয়েকটি স্টল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা হয়নি। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় সব স্টলের পর্দাই উঠেছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু কর্নার ছাড়া পুরো মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা দেড়-দু’শর বেশি না হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় দেখা দেয় মেলায়। সন্ধ্যানাগাদ মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। চিরচেনা রূপ পায় শনিবারের গ্রন্থমেলা।
দুপুর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে থাকে বইমেলার চিত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে লোক সমাগম। সন্ধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়ে বইমেলায় ঢুকতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।
প্রকাশকরা জানিয়েছেন, বইমেলায় মূলত সরকারি বন্ধের দিনগুলোতে বিক্রি ভালো হয়। শুক্র-শনিবারের বিক্রিবাট্টায় খুশি বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
রোদেলা প্রকাশনীর প্রকাশক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ছুটির দিন ও বিশেষ দিনগুলোতে সব স্টলেই বই বিক্রি হয়। এছাড়া অন্যান্য দিন এক স্টলে একেকরকম বিক্রি হয়।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন বই। নানা স্টলে শোভা পাচ্ছে সারি সারি বইয়ের স্তূপ। স্টলের সামনেও সারিতে মেলে ধরা হয়েছে বই।
শনিবার মেলার ৬ষ্ঠ দিনে এসেছে বিভিন্ন লেখকের গল্প, কবিতা, উপন্যাস আর প্রবন্ধসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ১৫৫টি বই।
** ছোট’র চাই ছবির বই, বড়জনের বৈজ্ঞানিক কল্পকথা
** ছোটদের পদচারণায় মুখর মেলার শিশু কর্নার
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫
এডিএ/এএ