ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

২১ প্রকাশনীকে শো’কজ, পরের বছর ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
২১ প্রকাশনীকে শো’কজ, পরের বছর ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ ছবি: শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গ্রন্থমেলা থেকে: নিয়ম ভঙ্গ করায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশ নেওয়া ২১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো (শো’কজ) নোটিশ দিয়েছে বাংলা একাডেমি। এসব শো’কজের সন্তোষজনক উত্তর না এলে পরবর্তী বছর এসব প্রকাশনীর বরাদ্দ বাতিল করা হবে।



সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দকৃত জায়গা পরিবর্তন করে নিজেদের ইচ্ছেমতো রাতের আঁধারে স্টল বানিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলাপ না করেই তারা নিয়ম ভেঙেছে। এজন্য তাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

বাংলা একাডেমির ডিজি বলেন, সন্তোষজনক জবাব না দিলে পরের বছরের বইমেলায় এসব প্রকাশনী ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ হবে।

বাংলা একাডেমি সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, শো’কজ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- অন্বেষা, তাম্রলিপি, পার্ল পাবলিকেশন্স, শোভা, গদ্যপদ্য, শব্দশিল্প, অ্যাডর্ণ পাবলিকেশন্স এবং সূবর্ণসহ মোট ২১টি প্রতিষ্ঠান।

গত সাতদিনে গ্রন্থমেলার কর্মকাণ্ড তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।

এক প্রশ্নের উত্তরে শামসুজ্জামান খান বলেন, আমার মনে হয় না, প্রকাশকরা বইমেলার মতো এতো বড় আয়োজন করতে পারবেন। অন্তত দুই-চার বছরে সম্ভব না। তারা মেলা করার মতো সক্ষম হলে আমাদের সাধুবাদ থাকবে।

একাডেমির মহাপরিচালক প্রকাশকদের মধ্যে বিভাজনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ থাকায়  গ্রন্থমেলা আয়োজন ও পরিচালনা করার মতো অবস্থায় নেই। এছাড়া তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠান সামলাবেন নাকি মেলা তদারকি করবেন?

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।