ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হয়েছে শান্তনু চৌধুরী’র উপন্যাস ‘নারীসঙ্গ’। এটি পাওয়া যাচ্ছে উৎস প্রকাশনের স্টলে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, স্টল নম্বর: ৫০৫-৫০৬-৫০৭-৫০৮)।
বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রবাসী শিল্পী জাহেদুর রহমান রবিন। দাম রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা।
উপন্যাসের শুরুতে চমক দিতে চেয়েছেন শান্তনু চৌধুরী। লিখেছেন, ‘তর শরীর, নকুরের দোকানের বাদাম দেওয়া সুজির মতো, পরোটা দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। ’
এই লাইনটি পড়ে পাঠক সহজেই ধরে নেবে ভেতরে পাতায় পাতায় বনানী আবহে ছুঁয়ে দেওয়া চিনচিনে প্রেমের বাতাস। রঙ লাগবে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে।
পুরো উপন্যাসটিতে লেখক এমন চমক আরও দিতে চেয়েছেন। যেমন গল্পের একজন নায়িকার ফেরিওয়ালার কাছ থেকে চুরি কেনার দৃশ্যে বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘ফেরিওয়ালাদের কাবু করার একটা বিশেষ ভঙ্গিমা আছে কুলসুমের। এটা বেশ কয়েকদিন ভাবার পর বের করতে পারে আলম। ফেরিওয়ালার সামনে গিয়ে অন্যান্য ক্রেতার মতো আলগা হয়ে বসে চুড়ি দেখে, শাড়ি দেখে আর কোন ফাঁকে যে নিজের পরনের শাড়িটা সরে গিয়ে ঢেকে রাখা স্তনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে তা যেন দেখেও দেখে না কুলসুম। সে বুঝতে পারে ফেরিওয়ালার চোখ এখন পসরার চেয়ে তার বুকের দিকে। মাঝে মাঝে আরও সস্তায় জিনিস নেওয়া বা কারও মাধ্যমে চুরি করার ইচ্ছে থাকলেও বুকের গিরিখাতের লোভ দেখাতেও ছাড়ে না কুলসুম। ’
শুধু শরীরী বর্ণনা নয়, নারী স্বাধীনতা, নারীদের নিয়ে সমাজের দৃশ্যভঙ্গি বা নারী লোলুপতার অনেক চিত্রও তুলে ধরেছেন লেখক।
শান্তনু চৌধুরী উপন্যাস প্রসঙ্গে বলেন, নারী, একজন মানুষের জীবনে কতো ধারা-উপধারায় নদীর মতো প্রবাহিত হতে পারে, তারই একটা ছোট আখ্যান এটি। এই নারীরা যেমন আমাদের সমাজের, তার কাছে যাওয়া, কাছে পাওয়ার ব্যাকুলতা বা লোলুপতা নিয়ে যারা বসে আছে তারাও আমাদের কাছেরই মানুষ। উপন্যাসটি এই মানুষগুলোর পরিচয় তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র। এই বইয়ে বেশ কিছু বার্তা রয়েছে আমাদের সময় ও সমাজের জন্য।
পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গড়ে উঠা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক নৈসর্গিক পাঠ শেষে এখন শান্তনু চৌধুরী চেষ্টা করছেন স্বশিক্ষিত হওয়ার। কাগুজে, আন্তর্জালিক, শ্রুতিনির্ভর ও দৃশ্যমান সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছে শান্তনু। বর্তমান ব্যস্ততা সময় টিভির অন্দরমহলে, যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক হিসেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এইচএ/