অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: সিসিমপুরের প্রিয় সব চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরিকে পেয়ে নেচে-গেয়ে, ছবি তুলে দারুণ সময় কাটালো শিশুরা। বইমেলার শিশুপ্রহরে এসে এটা ছিলো তাদের বাড়তি পাওয়া।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের এক প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন ছিল। উৎসবে একুশে গ্রন্থমেলার জন্য সিসিমপুরের বইয়ের ও একটি ডিভিডিরও মোড়ক উন্মোচন হয়। পরে সিসিমপুরের চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি নাচে-গানে-ছড়ায় পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখে।
কয়েক শ’ শিশু-কিশোর এ আয়োজন উপভোগ করে। সঙ্গে ছিলেন তাদের অভিভাবকরাও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর জানিনা জারুজিলিসকি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ইফাদ মাল্টি প্রডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানান, শিশুদের শুধু স্কুলের পড়াশোনা করলেই হবে না, তাদের ফুটতে দিতে হবে। তারা একটি ফুল, এই ফুলের বিকাশ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিশুদের বাধা নয়, তাদের বিকাশ নষ্ট করা যাবে না। এজন্য তাদের বই পড়তে হবে, খেলাধুলা করতে হবে। আমি সিসিমপুরের সঙ্গে শুরু থেকেই কম-বেশি জড়িত। এই আয়োজন শিশুদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। খেলার ছলে নতুন অনেক কিছু শেখায়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শিশুদের এমন উচ্ছ্বাস দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ছবি তোলেন আগত শিশুদের সঙ্গে। স্টেজ থেকে নিচে নেমে মিশে যান কোমলমতিদের মধ্যে। সোনামনিরাও তাকে আপন করে নেয়। এসময় ছবি তোলায় ব্যবস্ততা দেখা দেয় অভিভাবদের মধ্যে।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছেলের ছবি তুলে রাখার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি, তাই সেলফিও হলো, সাধারণ ছবিও তোলা হলো।
এর আগে অবশ্য উপস্থিত সব অতিথি এবং হালুম, টুকটুকি, ইকরি মিলে গ্রুপ ছবি তোলেন। তখন শিশুদের অঙ্গীকার করানো হয়, সুন্দর সুন্দর সব বই যেন তারা পড়ে। পড়াশোনার ফাঁকে সাহিত্যেও যেন মনোনিবেশ করে। তবেই তারা বড় হয়ে ভালো নাগরিক হতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
আইএ/এএ