ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

প্রাণবন্ত মেলায় একুশের আবহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
প্রাণবন্ত মেলায় একুশের আবহ ছবি: দীপু/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: কী অদ্ভুত সুর! এমন সুর আর কোথায় আছে। বৃহস্পতিবার মেলার ১৮তম দিনে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে যখন ক্ষণে ক্ষণে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির সুর করুণভাবে মাইকে বাজছিলো তখন পুরো মেলাজুড়েই যেনো বিরাজ করছিলো একুশের চেতনা!

মায়ের ভাষা, মধুর ভাষা বাংলার জন্য শহীদদের স্মৃতির এ মেলা নতুন করে উজ্জীবিত করে আমাদের।

শুধু বইয়ের টানেই নয়, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের স্মরণেই অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রতিবছর প্রাণ ফিরে পায়।

বায়ান্নর চেতনা লালন করে এগিয়ে চলা বইমেলার ১৮তম দিন যেনো মনে করিয়ে দেয় দুয়ারে ২১শে ফেব্রুয়ারি।

বৃহস্পতিবার একুশের বইমেলায়ও তাই একুশে ফেব্রুয়ারির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। একুশের আগেই মেলায় পড়ে একুশের আবহ।

১৮তম দিনে বিকেলে যথারীতি মেলার দ্বার খোলা হয় বিকেল ৩টায়। তার আগেই মেলায় আসা দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বেলা যত বাড়তে থাকে বইপ্রেমীরা ভিড় জমাতে থাকেন মেলায়। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়েই মেলায় এসেছেন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেও মেলা ছিল সরব।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে এদিন কেউ বই কিনছেন আবার কেউ নতুন বই দেখছেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন স্টল ও কবি-লেখকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলছেন।

প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা আগামী ১৯ (শুক্র), ২০ (শনি) এবং ২১ ফেব্রুয়ারির (রোববার) অপেক্ষায় আছেন। টানা তিনদিন সরকারি ছুটি থাকায় বইমেলায় বিক্রি চাঙ্গা থাকবে- এমনটাই আশা প্রকাশকদের।

এদিকে মেলার ১৮তম দিন বিকেল ৪টা থেকে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে শুরু হয়েছে আহসান হাবীব জন্মশতবর্ষিকী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন তারেক রেজা। আলোচনায় রয়েছেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী, অসীম সাহা, নাসির আহমেদ এবং অনু হোসেন। সভাপতিত্ব করছেন বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

সন্ধ্যায় যথারীতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে মূলমঞ্চে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এডিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।