ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

বইমেলা

প্রকাশক সমিতির ১২ অভিযোগ আমলে নিলেন না বাংলা একাডেমি ডিজি

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
প্রকাশক সমিতির ১২ অভিযোগ আমলে নিলেন না বাংলা একাডেমি ডিজি

বইমেলা থেকে: এবারের বইমলো নিয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি বরাবর ১২ দফার অভিযোগপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি। কিন্তু অভিযোগগুলো আমলে না নিয়ে উল্টো প্রকাশকদের উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) শামসুজ্জামান খান।



রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাক্ষরিত চিঠিটি মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে এসে পৌঁছায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ওসমান গণি।

১২ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে:

১. বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি, ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রি।

২. বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অপ্রকাশক বিভিন্ন এনজিওকে বরাদ্দ দেওয়া।

৩. মেলার আরেক অংশ সোহরাওয়ার্দীতে সিসিমপুর প্রকাশনার পুরো স্থান দখল।

৪. মেলার কিছু কিছু অংশে রাতে আলোর সংকট, পানির ব্যবস্থা না থাকা।

৫. মেলার প্রবেশদ্বার তিনটি হলেও দুটো দ্বার দিয়েই প্রবেশ।

৬. মেলার ধূলাবালু নিয়ন্ত্রণে পানির ব্যবস্থা না থাকা, পানি দেওয়ায় বৈষম্য।

৭. বিভিন্ন ইউনিটের স্টলের অবকাঠামো তৈরিতে সমতাহীনতা।

৮. গুচ্ছ স্টল সমন্বয় করা হয়নি।

৯. স্টলের ক্রম ধারাবাহিকতা নেই।

১০. প্রতিবছর লটারির আগে নম্বর বসানো হয়, এবার তার উল্টো হয়েছে। এতে সমস্যা হয়েছে।

১১. অনেকে এখনও বাংলা একাডেমিকেই মেলার মূল অংশ মনে করেন, কিন্তু তাদের সে ধারণা ভুল হয় ভেতরে ঢুকে। এটি সমাধানের জন্য টিএসসি ও দয়েল চত্বরে মাল্টিমিডিয়া স্থাপন করা দরকার।

১২. স্টলের বিন্যাসের ক্ষেত্রে বড় বড় এবং প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনীগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

অভিযোগপত্রের বিষয়ে সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, মেলা বাংলা একাডেমির। এখানে তাদের ভূমিকাই বেশি। কিন্তু তাদের উদ্যোগ কম। এতে সাধারণ প্রকাশকরা বিপাকে পড়েছেন। আমরা সব রকম অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে একাডেমিকে সমিতি থেকে একটি চিঠি দিলাম। আশা করছি এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীবার আরও সুন্দর মেলা হবে।

মেলার শেষ দিকে এমন অভিযোগপত্র কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো মেলা পর্যবেক্ষণ করেই আমরা এটি দিয়েছি। এখানে কোনো তড়িঘড়ি নেই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশি লেখকদের বই বিক্রি করা হচ্ছে, তাও একাডেমি দেখছে না।

এ বিষয়ে প্রশ্ন ছিল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের কাছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তাদের অভিযোগ এতো গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা মেলা করুক না, ভুলই ধরবে শুধু। কোনো দায়িত্বের বেলায় নেই, শুধুই অভিযোগ করা। তারা প্রকাশক, তারা বইয়ের বিক্রেতা, এছাড়া আর কিছু না। সোমবার আগুন লাগলো, তারা কি কেউ এসেছিল? আমরাও তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা কিছু করছে না, শুধু অভিযোগই করছে।

মহাপরিচালক বলেন, পাইরেটেড বই ধরতে টাস্কফোর্স আছে, তারা কাজ করবে। বাংলা একাডেমির প্রতি অভিযোগ করে কী লাভ!

চিঠি:


বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬/আপডেট: ১৭০৫
আইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।